সম্প্রতি প্রকাশিত ভূউপগ্রহের ছবিতে বিমানঘাঁটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ধরা পড়েছে। গোয়েন্দা কোম্পানি স্ট্রাটফর ওই ছবিগুলো প্রকাশ করে।
ছবিতে দেখা যায়, গত সপ্তাহে টি-ফোর বিমানঘাঁটির ভেতরে ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি স্থানে আগুনে চারটি হেলিকপ্টার ও ২০টি লরি পুরোপুরি পুড়ে গেছে।
হেলিকপ্টারগুলো রাশিয়া এবং সিরিয়া উভয় বাহিনীই ব্যবহার করত বলে জানিয়েছে ক্রেমলিনপন্থি একটি ওয়েবসাইট।
কি কারণে আগুন লেগেছিল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিবিসি জানায়, আইএস সংশ্লিষ্ট সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’ সর্বপ্রথম টি-ফোর বিমানঘাঁটিতে আগুন লাগার সংবাদ প্রকাশ করে। যদিও খবরে এর কারণ জানানো হয়নি।
খবরে বলা হয়, “হোমস প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত টি-ফোর বিমানঘাঁটিতে অগ্নিকাণ্ডে রাশিয়ার চারটি যুদ্ধ হেলিকপ্টার ও ক্ষেপণাস্ত্র ভর্তি ২০টি ট্রাক বিধ্বস্ত হয়েছে।”
একই দিন আইএস একটি ছবি প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায় তাদের একজন যোদ্ধা টি-ফোর বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট ছুঁড়ছে।
স্ট্রাটফরের সেনা বিশেষজ্ঞ সিম তাক বলেন, “ছবিগুলো দেখে যা বুঝছি তাতে প্রথমেই একথা বলা যায় যে, এটি কোনও দুর্ঘটনা জনিত অগ্নিকাণ্ড নয়।”
“ছবিতে পরিষ্কার ভাবে বোঝা যাচ্ছে, বিমানঘাঁটি জুড়ে বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ হয়েছে। এ থেকে বলা যায়, রাশিয়া খুব খারাপ ভাবে হামলার শিকার হয়েছে।”
“হেলিকপ্টার ইউনিটের পুরো অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সেখানে মোট চারটি হেলিকপ্টার ছিল। বিমানবন্দরে থাকা সিরিয়ার কয়েকটি বিমানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোলাবারুদের একটি গুদামও ধ্বংস হয়ে গেছে।”
আমাক এর খবর ‘খুবই সঠিক’ বলে বর্ণনা করেন তিনি। আইএস এর হামলাতেই হেলিকপ্টার ও গুদাম বিধ্বস্ত হয়েছে বলে বর্ণনা করেন তিনি।
তবে আইএস কেন এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি তা বুঝতে পারছেন না বলেও জানান তাক।
তিনি বলেন, “অতীতে আইএস এ ধরনের হামলা চালানোর দাবি করেছে। এমনকি তারা হামলার ভিডিও ধারণ করে তা প্রকাশ করেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে এ ধরনের কিছু এখনও প্রকাশ পায়নি।”
রাশিয়াও এখনও এ ঘটনার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনও মন্তব্য করেনি।