কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের ইচ্ছা ‘প্রপাগান্ডা মাত্র’

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলীয় সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকে বসার ইচ্ছাকে নির্বাচনী প্রচারণার ‘এক ধরনের প্রপাগান্ডা বা বিজ্ঞাপন’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের নিযুক্ত উত্তর কোরীয় রাষ্ট্রদূত।

>>রয়টার্স
Published : 24 May 2016, 09:29 AM
Updated : 24 May 2016, 09:29 AM

সোমবার উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের কংগ্রেসে যোগ দিয়ে জেনেভায় ফিরে আসার সময় বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত সো সে পিয়ং বলেন, “বৈঠক করবেন কী করবেন না তা আমার সর্বোচ্চ নেতার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। কিন্তু আমি মনে করি তার (ট্রাম্পের) কথা বলার ইচ্ছা কোনো অর্থপূর্ণ বিষয় নয়।”

“প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যবহার করার জন্যই এটা বলা হয়েছে, আর কিছু নয়। এটি এক ধরনের প্রপাগান্ডা অথবা বিজ্ঞাপন। এর কোনো ব্যবহারিক ভিত্তি নেই, এটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোযোগ আকর্ষণের একটি ধরন।” বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, “এখানে কোনো আন্তরিকতা নেই, এর কোনো অর্থও নেই।”

সো সে পিয়ং বলেন, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী থাকার সময় নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়ার (ডিপিআরকে) নেতার সঙ্গে বৈঠক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি (ওবামা) তা পূরণ করেননি।

গেল সপ্তায় রয়টার্সের সঙ্গে এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকালে ট্রাম্প বলেছিলেন, পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু কর্মসূচি থামানোর চেষ্টায় তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে কথা বলতে চান।”

এর মাধ্যমে বিশ্বসম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ার প্রতি মার্কিন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। 

সো সে পিয়ং  জানান, তার দেশ নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে স্থবির হয়ে থাকা ছয়জাতি আলোচনায় ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত ছিল। চীন ও রাশিয়া বিষয়টিকে সমর্থনও করেছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করায় এটি আর সম্ভব হয়নি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “একটি দায়িত্বশীল পরমাণু শক্তিধর জাতি হিসেবে আমরা কখনোই আগ বাড়িয়ে এটি ব্যবহার করবো না। যদি যুক্তরাষ্ট্র তাদের পরমাণু অস্ত্র প্রথম ব্যবহার করে তবে আমরাও তা ব্যবহার করবো।”