বার্মিংহাম ও সাউথ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নদীর নিচু তীরে গাছ লাগানো হলে তা বৃষ্টির কারণে ফুলেফেঁপে ওঠা নদীর পানি প্রবাহের গতি কমিয়ে দেওয়া ছাড়া সম্পদও রক্ষা করবে।
তবে বন্যা প্রতিরোধের এই প্রাকৃতিক পদ্ধতি সব সময় কার্যকর নাও হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা।
তাছাড়া গাছ লাগানোর ফলে প্রাকৃতিকভাবে পানি সংরক্ষণে সমস্যা হতে পারে জানিয়ে তারা কৌশলী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্লাবনভূমির বিস্তৃতি যেমন বাড়ছে, তেমনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতও বাড়ছে। অনেক স্থানই কংক্রিটের দেয়াল দিয়ে রক্ষা করা যাচ্ছে না।
ফলে বন্যার হাত থেকে বাঁচতে প্রাকৃতিক পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে বলে গবেষকরা মনে করছেন।
এক্ষেত্রে গাছ লাগানো ছাড়াও ছোট ছোট ছিদ্রযুক্ত বাঁধ নির্মাণ করার মাধ্যমে স্রোতের তীব্রতা কমিয়ে আনা যেতে পারে বলে তারা মত দিয়েছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নদীর সঙ্গে সংযোগ খাল তৈরি করা হলে সেটি আরও বেশি কার্যকর হতে পারে। এই খাল দিয়ে প্রবাহিত পানি নিজেই গতিপথ তৈরি করে নেবে।
এতে প্লাবন কমার হার ২৫ থেকে ৪০ শতাংশও হতে পারে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।