মঙ্গলবার প্রকাশিত এক জরিপের ফলাফলে ব্রিটিশ নাগরিকদের এ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে থ্যাচারই প্রথম ও এখনও পর্যন্ত একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি তার রক্ষণশীল দলকে তিনবার জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী করেছিলেন। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার পরিচালনা করেন।
দেড়শ বছরেরও বেশ সময়ের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালের এপ্রিলে তার মৃত্যু হয়।
তার প্রধানমন্ত্রীত্বের সময় ট্রেড ইউনিয়ন, বিরাষ্ট্রীয়করণ এবং ফকল্যান্ড যুদ্ধের মতো বিষয়গুলো নিয়ে ব্রিটিশদের মধ্যে তীব্র মতভেদ আছে। কিন্তু তারপরও অবসর ভাতা ও বীমা প্রতিষ্ঠান ‘স্কটিশ উয়িডোস’-র করা জরিপটিতে দেশটিতে থ্যাচারের গভীর প্রভাবের দিকটি উন্মোচিত হয়েছে।
জরিপে ২৮ শতাংশ ভোট পেয়ে থ্যাচার বিজ্ঞানী ম্যারি কুরিকে পেছনে ফেলেছেন। দুবার নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিখ্যাত বিজ্ঞানী কুরি ২৪ শতাংশ ভোট পেয়ে ব্রিটিশদের বিবেচনায় বিশ্বের দ্বিতীয় সবেচেয়ে প্রভাবশালী নারী নির্বাচিত হয়েছেন।
১৮ শতাংশ ভোটে রাণী এলিজাবেথ তৃতীয় সবচেয়ে প্রভাবশালী ও ১৭ শতাংশ ভোটে প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়না চতুর্থ এবং নারী অধিকার কর্মী এমেলিন পাঙ্কহার্স্ট ১৬ পঞ্চম সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী নির্বাচিত হয়েছেন।
মাদার তেরেসা, ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, রাণী ভিক্টোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার কর্মী রোজা পার্ক এবং দেশটির টেলিভিশন উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রে সবচেয়ে প্রভাবশালী শীর্ষ ১০ নারীর মধ্যে রয়েছেন।