সাংস্কৃতিক অনুপ্রবেশে যৌনতাকে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র: খামেনি

ইরানের নীতিনির্ধারক অভিজাত শ্রেণীর মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুপ্রবেশ ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্র যৌনতা, অর্থ এবং পশ্চিমা জীবনধারাকে ব্যবহার করছে।

>>রয়টার্স
Published : 26 Nov 2015, 08:29 AM
Updated : 26 Nov 2015, 08:29 AM

দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বুধবার এই অভিযোগ করেছেন।

ইরানে সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের ব্যাপকহারে ধরপাকড়ের ঘটনার মধ্যেই খামেনি এই কথা বললেন। দেশটিতে সর্বোচ্চ এই ধর্মীয় নেতার কথাই শেষ কথা।

সম্প্রতি বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে দেশটি একটি পরমাণু চুক্তি করেছে। এরপর থেকে তেহরানের কর্তৃপক্ষের মধ্যে অভিজাত নীতিনির্ধারক শ্রেণীর মধ্যে পশ্চিমা সংস্কৃতি বা ভাবধারার অনুপ্রবেশের আশঙ্কার সৃষ্টি হয়। আর এ থেকেই ব্যাপকভাবে ধরপাকড় অভিযান শুরু হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। 

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে খামেনি বলেন, “সাংস্কৃতিক অনুপ্রবেশের জন্য দুটি প্রধান বিষয় ব্যবহার করা হয়: অর্থ এবং যৌন আকর্ষণ। বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গি এবং জীবনধারা পাল্টে দেওয়ার জন্য তারা এসব ব্যবহার করছে যেন আক্রান্ত ব্যক্তি আমেরিকানদের মতো করেই চিন্তা করে।”

খামেনি আরো বলেন, “অনুপ্রবেশের মূল লক্ষ্য অভিজাত সম্প্রদায়, প্রভাবশালী এবং নীতিনির্ধারক ব্যক্তিবর্গ। আর সাংস্কৃতির অনুপ্রবেশ এ কারণেই বিপজ্জনক।”

ইরানের রেভ্যুলিউশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) স্বেচ্ছাসেবক আধাসামরিক শাখা বাসিজের কমান্ডারদের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দমন অভিযানের অংশ হিসাবে আইআরজিসি শিল্পী, সাংবাদিক এবং মার্কিন নাগরিকদের নজরদারির মধ্যে রেখেছে।

গেল সপ্তায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মানবাধিকার কমিটিতে ইরানে দমনপীড়ন ও মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘটনা বেড়ে যাওয়ার সমালোচনা করা হয়।

কিন্তু তেহরান এই সমালোচনাকে ‘ইরানোফোবিয়া’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে।