কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসি বলছে, কারিগরি সমস্যা এবং ভুলের কারণেই ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আফগানিস্তানে নেটো ও যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর প্রধান জেনারেল জন ক্যাম্পবেল জানান, হাসপাতালে হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, বিমানচালকদের ভুল বোঝার ফল এই হামলা।
ক্যাম্পবেল বলেন, “বিমানের ক্রুরা ধারণা করেছিল তালেবান গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত আফগান সরকারের একটি চত্বরে হামলা চালাচ্ছে তারা। বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে সিস্টেমের ত্রুটি বা ব্যর্থতার ফলে মানুষের ভুল।”
মার্কিন তদন্ত প্রতিবেদনে এই হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী সরাসরি যুক্ত স্বীকার করে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্টরা জানতো না এমএসএফ পরিচালিত হাসপাতালে হামলা চালানো হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে যে ভবনে তালেবান জঙ্গিরা অবস্থান করছে ভেবে হামলা চালানো হয়েছে সেই ভবনের অবস্থান ছিল আরো কয়েকশ মিটার দূরে।
জানা গেছে, ওই বিমান হামলার সঙ্গে জড়িত সামরিক কর্মকর্তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
চলতি বছরের ৩ অক্টোবর কুন্দুজে দাতব্য সংস্থা এমএসএফ সেন্টারে চালানো মার্কিন বিমান হামলায় অন্ততপক্ষে ৩০ জন মারা যান। এদের মধ্যে ১৪ জন ছিলেন সংস্থাটির কর্মকর্তা পর্যায়ের ব্যক্তি।
ওই ঘটনার পর দাতব্য এই সংস্থাটি কুন্দুজ থেকে তাদের কর্মকাণ্ড কাজ গুটিয়ে নিয়েছে।
ওই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ দাবি করে এর নিরপেক্ষ একটি আন্তর্জাতিক সত্যানুসন্ধান কমিশন গঠন করে তদন্তের দাবি জানিয়েছিল মিতস সঁ ফঁতিয়া (এমএসএফ)।
দাতব্য এ চিকিৎসা সংগঠনটি বলেছে, জেনেভা কনভেনশনের আওতায় কোনো একটি রাষ্ট্রের অনুরোধে নিরপেক্ষ ওই কমিশন গঠন করতে হবে এবং কমিশনটি যুক্তরাষ্ট্র, নেটো ও আফগানিস্তান থেকে তথ্য-প্রমাণ যোগাড় করবে।
শুধুমাত্র তারপরই এমএসএফ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে তারা জানমালের ক্ষয়ক্ষতির জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবে কিনা।
এমএসএফ'র পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের হাসপাতালটির কার্যক্রম সম্পর্কে সবাই জানত। তাই হাসপাতালে বোমা ফেলা কোনোভাবেই ভুল হতে পারে না।
দাতব্য কাজের জন্য ১৯৯৯ সালে এমএসএফ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায়।