ইরানের পরমাণু চুক্তিতে সন্তুষ্ট সৌদি আরব

মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় ইরানের পরমাণু চুক্তি অবদান রাখবে বলে মনে করে সৌদি আরব।

>>রয়টার্স
Published : 5 Sept 2015, 06:39 AM
Updated : 5 Sept 2015, 06:39 AM

শুক্রবার হোয়াইট হাউজে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল-আজিজ আল সউদের বৈঠকের পর জ্যেষ্ঠ এক সৌদি কর্মকর্তা এ কথা জানান।

চুক্তির বিষয়ে ওবামার আশ্বাসে সৌদি আরব সন্তুষ্ট হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ইরানকে মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের আরো সমর্থন চাইতে ওয়াশিংটন সফর করছেন বাদশা সালমান। জানুয়ারিতে সৌদি বাদশা হিসেবে অভিষেক হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে এটাই সালমানের প্রথম সফর।

জুলাইয়ে ইরানের সঙ্গে সই হওয়া পরমাণু চুক্তিসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিরোধে দেশদুটির মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনার একটি পর্বের পর যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন তিনি।

তার এ সফরকে দুদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সুযোগ হিসেবে দেখছে ওবামা প্রশাসন।

ওবামা ও সালমানের মধ্যে বৈঠকের পর সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর জানিয়েছেন, চুক্তিটি ইরানকে পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হওয়ায় বাধা দেবে।

এরমধ্যে দেশটির সামরিক ও সন্দেহজনক স্থানগুলো পরিদর্শন করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত এবং ইরান চুক্তি লঙ্ঘণ করলে নিষেধাজ্ঞা ফের আরোপ করার বিধানও চুক্তিটিতে রাখা হয়েছে বলে আশ্বস্থ করেছেন ওবামা। 

আল জুবেইর জানিয়েছেন, এসব শর্তে চুক্তিটি সমর্থন করেছে সৌদি আরব।

তিনি বলেন, “এখন ইরান বিষয়ে আমাদের একটিমাত্র সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে, এই অঞ্চলে (মধ্যপ্রাচ্যে) ইরানের অশুভ তৎপরতার বিষয়ে আমরা আরো ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারবো।

মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় আরব দেশগুলো আগেই ইরানের পরমাণু চুক্তি সমর্থন করেছে। কিন্তু ইরানের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের নীতিগুলো অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশগুলো।

সমালোচকেরা বলছেন, পরমাণু চুক্তি ইরানকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করবে এবং এতে করে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর প্রতি দেশটির সমর্থন বৃদ্ধি পাবে।