জিম্বাবুয়ের পরিবেশমন্ত্রী ওপ্পাহ মুচিংগুরি বলেছেন, অবৈধভাবে পশু শিকারের জবাবদিহি করতে পামারকে জিম্বাবুয়ের কাছে হস্তান্তর করা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের।
মিনেসোটার মার্কিন পর্যটক পামার জিম্বাবুয়ের বিখ্যাত সিংহ সিসিল শিকার করার জন্য ৫০ হাজার ডলার দিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।
শিকারের অভিযোগ সম্পর্কে পামার বলেছেন, তিনি শিকার করা বৈধ মনে করেছিলেন এবং সিসিলের সুরক্ষার বিষয়টি তার জানা ছিল না।
রাজধানী হারারে তে একটি সংবাদ সম্মেলনে মুচিংগুরি পামারকে বিদেশি শিকারি বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “আমরা এ ধরনের সংগঠিত চক্রের হাত থেকে আমাদের বন্যপ্রাণীজগতকে রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর এর মধ্যেই কিছু মানুষ জিম্বাবুয়ের আইন ক্ষুন্ন করার চক্রান্ত করছে।”
যে কেউই স্পষ্ট করে বলতে পারবে যে, “পামার মার্কিন নাগরিক হয়ে ভালভাবে জেনেশুনে সুপরিকল্পিতভাবে জিম্বাবুয়ের ভাবমূর্তি করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়েই এসেছিলেন।”
পামারকে শিকারে সহায়তা করার জন্য জিম্বাবুয়ের এক শিকারী এবং অপর আরেকজন এরই মধ্যে বিচারের মুখোমুখি হয়েছে।
পামার জিম্বাবুয়ে ছেড়ে চলে গেলেও তাকেও অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শিকারের অভিযোগ আনা হতে পারে।
এর আগে ২০০৬ সালে নিজ দেশে কালো ভল্লুক হত্যার অভিযোগে আদালতে বিচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন পামার।