ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক প্রকাশনা বিজনেস ইনসাইডার জানিয়েছে, প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সবগুলো পোকিমন সংগ্রহ করার রেকর্ড গড়েছেন ভ্যাসকুয়েজ। যদিও এই দাবী একান্তই তার নিজের; এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
১৪২টি পোকিমন ধরতে ওই ব্যক্তির ওজন ২৫ পাউন্ড কমেছে বলেও জানানো হয়। এ ছাড়াও গেইমটি খেলতে তার ফোনের বিল বাবদ আরও পাঁচ হাজার ডলার খরচ হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সিবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ভ্যাসকুয়েজ জানান, গেইমটি খেলতে ২৬৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছেন তিনি। আর সেজন্য তার সর্বমোট সময় লেগেছে সাড়ে তিন সপ্তাহ।
ভ্যাসকুয়েজ বলেন, "প্রথম দিকে আমি আর সবার মতই গেইমটি খেলতে শুরু করি। কিন্তু আমি যতই আসল সংখ্যার দিকে যাচ্ছিলাম ততই গেইমটি শেষ করার দিকে নিজেকে উৎসর্গ করছিলাম।" এজন্য প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ৪০ কিলোমিটার হেঁটেছেন ২৪ বছর বয়সী পেশাদার এই ফটোগ্রাফার।
তিনি আরও বলেন, গেইমটি খেলতে গিয়ে অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন শহর ঘুরে বেড়ানো হয়েছে। "আমি আমার ফোনের বিল চেক করতে কিছুটা ভয় পাচ্ছি।"
তার সংগ্রহের পোকিমন দেখাতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন ভ্যাসকুয়েজ। তবে সেখানে ১৪২ এর পরিবর্তে তার সংগ্রহশালায় ১৪৩ পোকিমন দেখতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে তিনটি অন্য দেশের জন্য বিশেষ পোকিমন। তার মানে দেশের বাইরেও পোকিমন ধরেছেন তিনি।
মূলত 'ট্রেজার হান্ট' ঘরানার অগমেন্টেড রিয়ালিটি গেইম 'পোকিমন গো'। এর বিশেষত্ব হল, এতে ভার্চুয়াল আর বাস্তব জগতের মধ্যে সমন্বয় আনা হয়েছে। কেবল ঘরে বসে খেলার মতো নয়, খেলোয়াড়কে বাইরে আনাই ছিল এই গেইমের মূল লক্ষ্য। একটি স্মার্টফোনে গেইমটি খেলার সময়ে 'পোকিমন গো' খেলোয়াড় থেকে পোকিমন বা প্রতিদ্বন্দ্বী দল কত দূরে রয়েছে তার ক্রমাগত নোটিফিকেশন দিয়ে যেতে থাকে। খেলোয়াড়রা চাইলে অপশনে গিয়ে তাদের আশপাশের পরিবেশ স্ক্যান করে দেখতে পারেন, কোথাও পোকিমন রয়েছে কিনা। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে হয়ত মোবাইলের পর্দায় পোকিমনের দেখা পেয়েও যেতে পারেন হঠাৎ। আর চাইলে 'পোকিমন বল' ছুঁড়ে পোকিমন কে বন্দি করে গেইমার তা যোগ করে ফেলতে পারেন নিজস্ব সংগ্রহের তালিকায়।