কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম পর্বে পিএসজির মাঠে ৩-১ ব্যবধানে জিতে সেমি-ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল বার্সেলোনা। আর মঙ্গলবার কাম্প নউয়ে দ্বিতীয় লেগে ২-০ গোলে জিতে সহজেই শেষ চার নিশ্চিত করেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চারবারের শিরোপা-জয়ী দলটি।
২০১২-১৩ মৌসুমেও কোয়ার্টার-ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে পিএসজির স্বপ্ন গুঁড়িয়ে গিয়েছিল।
চতুর্থ মিনিটে বল নিয়ে দ্রুত পিএসজির বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেস কিন্তু প্রথম লেগে দুই গোল করা এই উরুগুরুয়ে স্ট্রাইকারকে কর্নারের বিনিময়ে আটকে দেন দাভিদ লুইস। তবে গোলের অপেক্ষা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি বার্সেলোনার।
এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় কাতালুনিয়ার দলটি। সুয়ারেসের বাড়ানো বল থেকে লিওনেল মেসি লক্ষভেদে ব্যর্থ হলে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হারায় স্বাগতিকরা। তবে প্রথমার্ধেই নেইমারের হাত ধরে স্কোরলাইন ২-০ করে নেয় বার্সেলোনা।
৩৪তম মিনিটে দুই ব্রাজিলিয়ানের দারুণ বোঝাপড়ায় গোলটি পায় বার্সেলোনা। দানি আলভেসের নিখুঁত ক্রস প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে খুঁজে নেয় নেইমারকে; মাপা হেডে লক্ষ্যভেদ করে পিএসজির সেমি-ফাইনালে খেলার স্বপ্ন প্রায় শেষই করে দেন তিনি।
প্রথমার্ধে আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত থাকা পিএসজিকে ম্যাচে ফেরানো গোল এনে পারেননি জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। ফলে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্রান্সের লিগ ওয়ানের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
লরাঁ ব্লাঁর দল অবশ্য বল পায়ে রেখে দ্বিতীয়ার্ধে গোছানো আক্রমণে মনোযোগ দেয় বেশি কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি।
দুই দলের দুই গোলমেশিন মেসি ও ইব্রাহিমোভিচ গোলের দেখা পাননি। ৭৩তম মিনিটে ইব্রাহিমোভিচের শট রুখে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক। এর পর পরই ফিরতি আক্রমণে যাওয়া মেসিকে বক্সের আগেই আটকে দেন অতিথি দলের ডিফেন্ডার লুইস।
৭৯তম মিনিটে বার্সেলোনার বক্সে বেশ চাপের সৃষ্টি করে পিএসজি। কিন্তু উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড এদিনসন কাভানির শট বাইরের জালে জড়ালে হতাশ হতে হয় অতিথিদের। শেষ দিকে এসেকিয়েল লাভেস্সির শটও সরাসরি গোলরক্ষকের গ্লাভসে জমা হয়।
অন্য কোয়ার্টার-ফাইনালে ৬-১ গোলে পোর্তোকে হারিয়ে প্রথম লেগের হারকে পেছনে ফেলে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।