বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় ফেডারেশন কাপের শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল। আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের কোচ ও অধিনায়ক জানালেন শিরোপা জয়ের লক্ষ্যটা।
দুই দলের এবারের ফাইনালে ফিরে আসছে প্রতিশোধ আর পুনরাবৃত্তির প্রসঙ্গ। ১৯৯৭ ও ২০০১ সালে শিরোপার খুব কাছাকাছি পৌঁছেছিল আরামবাগ; প্রথমবার আবাহনীর কাছে ২-১ গোলে এবং পরের বার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরে স্বপ্ন ভাঙে তাদের। এবার আরেকটা সুযোগ পাচ্ছে সাইফুল বারী টিটোর দল।
সাফল্য পেতে জর্জ কোটান আক্রমণভাগের দিকে বিশেষভাবে তাকিয়ে আছেন। লি টাক, সানডে চিজোবা, কামারা সাররারা গোলে একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি আগের ম্যাচগুলোয়। ফাইনালে গোল নষ্ট হওয়া দেখতে চান না আবাহনী কোচ।
“প্রতিটি ম্যাচে আমরা পাঁচ-ছয়টা সুযোগ তৈরি করেছি; যেগুলো থেকে শতভাগ গোল হয়। আরামবাগের কাছে গ্রুপ পর্বে হেরে যাওয়া ম্যাচে নিশ্চিত ১০টা সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে পারিনি। তবে ম্যাচ বাই ম্যাচ আমরা উন্নতি করেছি এবং ছেলেদের এক ম্যাচে ছয়-সাত গোল করা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।”
টুর্নামেন্ট জুড়ে রক্ষণাত্মক খেলা আরামবাগ নিয়ে সতর্কতার কথাও জানান কোটান। তবে শিষ্যদের ওপরও আস্থা আছে তার, “আমরা আক্রমণাত্মক, আরামবাগ রক্ষণাত্মক দল এবং এটা তারা প্রথম ম্যাচে আমাদের দেখিয়েছে। তবে ছেলেরা আমাকে বলেছে, তারা প্রস্তুত। আমরাও শিরোপা জিততে উন্মুখ হয়ে আছি।”
“শুরু থেকে ভালো কিছু করার প্রচেষ্টা ছিল খেলোয়াড়দের মধ্যে। ফেডারেশন কাপে আমাদের যে মোটো কাজ করছে, সেটা হলো শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়া। শেষটা দেখে যাওয়া। ফাইনালে জন্য ছেলেরা দারুণ অনুপ্রাণিত।”
প্রতিশোধের প্রসঙ্গ এড়িয়ে আবাহনীকে সমীহের কথাও বলেন টিটো, “আমি মনে করি, খেলোয়াড়দের মান অনুযায়ী আবাহনী এ মৌসুমের সেরা দল। ওদের বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। তো সেটা মাথায় রেখে আমাদের খেলতে হবে। আমাদের কৌশলও হবে আমাদের খেলোয়াড়দের সামর্থ্য ও মেধা অনুযায়ী।”
জাফর-সুফিলদের অভিজ্ঞতার ঘাটতি অবশ্য কিছুটা হলেও ভাবাচ্ছে আরামবাগ কোচকে। তবে মনোবল দিয়ে অভিজ্ঞতার ঘাটতি পুষিয়ে নিতে চান টিটো, “আমাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অভিজ্ঞতা কম। এ দিকটায় আমাদের পিছিয়ে থাকতে হতে পারে কিন্তু আমি আশাবাদী। আসলে তরুণদের নিয়ে কাজ করা আনন্দের। তারা যেহেতু কিছু পায়নি, সেহেতু তাদের মধ্যে পাওয়ার তাগিদ সবসময় থাকে।”
“আমি মনে করি, আবাহনীর যে আক্রমণভাগ, বিশেষ করে ওদের সানডের (চিজোবা) কথা আমি বলব, এসব খেলোয়াড়কে জায়গা দিলে খুব বিপদ। আমি তাকে জায়গা দিতে চাইব না।”
ফাইনালের আগে আরামবাগ অধিনায়ক মিতুল হাসান জানালেন, চার মাসের পরিশ্রমের ফল এরই মধ্যে পেয়েছেন তারা; এবার শেষ ভালোর অপেক্ষায় তিনি। আবাহনী অধিনায়ক আরিফুল ইসলাম অবশ্য আরামবাগের কাছে গ্রুপ পর্বে হারের কারণে নিয়ে একটু বেশি সতর্ক।
“তারা যেহেতু ফাইনালে আসলে, ভালো খেলেই এসেছে। আমাদের আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী। ভালো খেলে যেহেতু তারা ফাইনালে এসেছে, তাদের দলের নির্দিষ্ট কেউ নয়, সবাই বিপজ্জনক।”