‘প্রথম’ জয়ের হাসি শেখ জামালের

লক্ষ্য ছিল হার এড়ানো। তবে উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে সিঙ্গাপুরের ট্যাম্পাইন রোভার্সকে হারিয়ে এএফসি কাপের মূল পর্বে প্রথম জয় তুলে নিল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। তিন বিদেশি ফরোয়ার্ডের সঙ্গে জুয়েল রানার নৈপুণ্যে শফিকুল ইসলাম মানিকের দল জিতেছে ৩-২ গোলে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2016, 02:47 PM
Updated : 27 April 2016, 10:00 AM

মূল পর্বে পাওয়া প্রথম জয়ে প্রতিশোধও নেওয়া হলো শেখ জামালের। রোভার্সের মাঠে ৪-০ গোলে হার দিয়ে এএফসি কাপের মূল পর্ব শুরু করেছিল বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে ওঠা শেখ জামাল।

মামুনুল ইসলামসহ নির্ভরযোগ্য আট ফুটবলারকে ছাড়া টানা চার ম্যাচ হারের পর নিজের দলকে ‘আহত সৈনিক’ বলেছিলেন শেখ জামাল কোচ মানিক। ছিল হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ল্যান্ডিং ডারবোর দুটি ও এমেকা ডার্লিংটন অনুহার এক গোলে সে বৃত্ত ভেঙে বেরিয়ে এল ঘরোয়া লিগের চ্যাম্পিয়নরা।

ষোড়শ মিনিটে গোলের প্রথম সুযোগটি অবশ্য তৈরি করে রোভার্স। জর্ডান ওয়েবের বাড়নো বল বিলি মেহমেটের মাথা হয়ে পেয়ে হেড করেন ফাজরুল নাওয়াজ। ফিস্ট করে তা ফিরিয়ে সে যাত্রা জামালকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল।

এরপর থেকে গোছালো ফুটবলের পসরা মেলে প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে শেখ জামাল। যাকে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল, আবাহনী লিমিটেড থেকে ‘ধারে’ খেলতে আসা সেই জুয়েল রানা আলো ছড়াতে থাকেন। জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ডের হাত ধরে ডান দিক থেকে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে শেখ জামাল।

২০তম মিনিটের আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। জুয়েলের ক্রসে নেওয়া ওয়েডসেনের হেড ক্রসবারে লেগে ফেরার পর ওয়েডসেন ফিরতি বল বাড়ান এমেকা ডারলিংটনের উদ্দেশে। এমেকা বল ধরতে না পারলে বক্সের মধ্যেই পেয়ে যান ল্যান্ডিং ডারবো; গাম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ডের মাপা শট ঠিকানা খুঁজে পায়।

আক্রমণ, প্রতি-আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে ২৭তম মিনিটে জেরমাইন পিনাটের ফ্রি-কিক ফিরিয়ে আবারও শেখ জামালের ত্রাতা হিমেল।

সাত মিনিট পরে এমেকার লম্বা পাস ধরে ওয়েডসেনের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৩৮তম মিনিটে প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে হাইতির এই ফরোয়ার্ডের আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

গোল শোধে মরিয়া ট্যাম্পাইন প্রথমার্ধের শেষ দিকে স্বাগতিকদের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে। ৪৪তম মিনিটে অতিথি দলের ফজরুল নেওয়াজের হেড কর্নারের বিনিময়ে ফেরান হিমেল। তবে পেনাটের নেওয়া ওই কর্নার থেকে গতিময় হেড ট্যাম্পাইনকে সমতায় ফেরান মুস্তাফিক ফারউদ্দিন।

পেনাল্টির সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৫৫তম মিনিটে আবার এগিয়ে যায় শেখ জামাল। এনামুল হকের থ্রু পাস ধরে বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়া ওয়েডসেনকে ফারউদ্দিন ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। এমেকা স্পট কিক থেকে গতিময় শটে বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়া ট্যাম্পাইন গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন।

৭০তম মিনিটে বদলি খেলোয়াড়ের হাত ধরে আবারও সমতায় ফেরে সিঙ্গাপুরের ঘরোয়া লিগের পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা। শাহদান বিন সুলাইমানের দূরপাল্লার শট হিমেলের হাত ফসকে জালে জড়ায়।

৮২তম মিনিটে ল্যান্ডিংয়ের গোল জয়ের পথে ফেরায় শেখ জামালকে। ওয়েডসেনর রক্ষণ চেরা পাস ধরে নিখুঁত প্লেসিং শটে স্কোরলাইন ৩-২ করেন ল্যান্ডিং। প্রথম জয়ের আনন্দে ভাসে শেখ জামাল।