শাহজাদপুর আমলী আদালতের জেনারেল রেকর্ড অফিসার (জিআরও) আতাউর রহমান জানান, মঙ্গলবার নয় আসামি জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. হাবিবুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
পরে তাদের আইনজীবীদের মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। শুনানী শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান তিনি।
নয় আসামি হলেন, শাহজাদপুরের নলুয়া গ্রামের মানিক (৩৫), কালু (২৮), জাহিদুল (৩৬), ছোট মানিক (২৮), রবিউল ইসলাম (৩০),পারকোলা কবরস্থান পাড়ার পিযুস (৪৫), পোতাজিয়া গ্রামের সিথি কন্ঠ ঘোষ ওরফে শিমুল (৪৮), পুকুরপাড় গ্রামের নিত্যানন্দ রায় (৪৮) ও বাড়াবিল মঙ্গলদহ গ্রামের জহির প্রামাণিক (৩২)।
সন্ধ্যায় তাদের আদালত থেকে বিশেষ নিরাপত্তায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মেয়র মিরুর আরেক ভাই পিন্টু অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মেয়রের বাড়ি ঘেরাও করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ওই সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে শটগানের গুলিতে আহত হয়ে মারা যান সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল। পরে শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম মেয়রসহ ১৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
গত ২ মে এ মামলায় মেয়র মিরু ও তার ভাই মিন্টুসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করে। পলাতক ২৪ আসামিকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করে।
এর আগে ২২ অগাস্ট শাহজাদপুরের আমলী আদালতে এ মামলার আরও সাত আসামি আত্মসমর্পণ করেন। এ মামলায় শাহজাদপুরের মেয়র হালিমুল হক মিরু, তার সহোদর হাবিবুল হক মিন্টু ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা একেএম নাসির উদ্দিনসহ পুলিশ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার হন। পরে মিন্টু ও নাছিরসহ সকলেই উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন।
এ মামলায় এ পর্যন্ত ৩০ জন গ্রেপ্তার হলেও অভিযোগপ্রত্রের আরও আট আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন।