গাজীপুরের মেয়র মান্নানের বিরুদ্ধে আরেক মামলা

ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2017, 10:58 AM
Updated : 21 May 2017, 10:58 AM

রোববার দুপুরে জয়দেবপুর থানায় এ মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক সামছুল আলম।

সামছুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ সাত কোটি ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৭৫ টাকা শর্ত লঙ্ঘন করে উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়া অন্যখাতে ব্যয় ও অনুদান দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

“মান্নানের বিরুদ্ধে দুদকের করা দ্বিতীয় মামলা এটি। এর আগে দুঃস্থদের ত্রাণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়।”

সম্প্রতি আদালতে ওই মামলার অভিযোগপত্রও দাখিল করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৮ অগাস্ট থেকে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন স্মারকে ৯ কোটি টাকা গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে বরাদ্দ দেয়। এ বরাদ্দের শর্ত ছিল- ‘বাজেটভুক্ত নির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়া অন্য কোনো খাতে কোনো অবস্থাতেই এ অর্থ ব্যয় করা যাবে না’।

“মেয়র মান্নান বরাদ্দ ৯ কোটি টাকা সোনালী ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব হিসাব নম্বরে জমা রাখেন। পরবর্তীতে ১/২০১২-১৩ নম্বর দরপত্র বিজ্ঞপ্তিমূলে বিভিন্ন সময় বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহের মধ্যে বিল ও অনুদান বাবদ ৭ কোটি ১৮ লক্ষ ৩২ হাজার ৫৭৫ টাকা ব্যয় করেন।”

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, বরাদ্দ অর্থ ব্যয়ের সুস্পষ্ট শর্ত লঙ্ঘন করে বাজেটভুক্ত নির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়া অন্য খাতে ব্যয় এবং অনুদান বাবদ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না নিয়ে মেয়র নিজে ক্ষমতাবান হওয়ার জন্য এবং অন্যকে লাভবান করার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

বাসে পেট্রলবোমা হামলা মামলায় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে মান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। পরে হাই কোর্ট থেকে ২২টি মামলায় জামিনের পর গত বছরের ২ মার্চ তিনি কারামুক্ত হন। এপ্রিল মাসে তিনি মেয়র পদ ফিরে পান।

গত বছর ১৫ এপ্রিল ফের নাশকতার তিনটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই মাসে তাকে ফের বরখাস্ত করা হয়।

তার বিরুদ্ধে মোট ২৯টি মামলা দায়ের করা হলেও সবকটি মামলায় তিনি জামিন লাভ করে এ বছরের ৬ জানুয়ারি কারামুক্ত হন বলে জানান তার আইনজীবী মঞ্জুর মোরশেদ প্রিন্স।