শনিবার বিকাল ৫টা থেকে ধর্মঘট শুরু করেছেন বলে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ফারহান রহমান জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার রাত মেডিসেন বিভাগে এক নম্বর ওয়ার্ডে রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর এলাকার এক রোগীর স্বজনরা কর্মরত শিক্ষানবিশ চিকিৎসক জনি সরকার ও শান্তার ওপর হামলা চালায়।
“বিষয়টি নিয়ে শনিবারে সকালে হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করি। বৈঠকে আমরা জানিয়েছি বারবার রোগীর স্বজনরা হামলার ঘটনা ঘটায়। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা ও হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ বক্স স্থাপনের দাবি জানানো হয়।”
পরিচালক দাবি বাস্তবায়নে সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ায় সভা করে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলে জানান চিকিৎসক ফারহান।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক মউদুদ আহমেদ বলেন, “শুক্রবার রাতে দুজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের ওপর রোগীর স্বজনরা হামলা করেছে। ভোরে ওই রোগীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে তার স্বজনরা।
“সকালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এসময় মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষও উপস্থিত ছিলেন। কীভাবে তাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় সে নিয়ে আলোচনা চলার মধ্যে হঠাৎ কাজ না করার ঘোষণা দিয়ে তারা বৈঠক থেকে চলে যান।
“সন্ধ্যায় শুনতে পাই শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা কাজ করছেন না।”
হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষানিবশ চিকিৎসদের কাজে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।