২০১০ সালের ১১ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদের মুলিবাড়িতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সমাবেশে দ্রুতগতির ট্রেনের নিচে ছয়জনের মৃত্যু হয়।
এর পরপরই ট্রেনে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুসহ বিএনপির অজ্ঞাতসংখ্যক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাতটি মামলা করা হয়।
টুকুর আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, ছাত্রনেতা শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর সদর উপজেলার সয়দাবাদের মুলিবাড়িতে সমাবেশের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
“খালেদা জিয়ার উপস্থিতে ওই সমাবেশ চলাকালে দ্রুতগতির একটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ট্রেনে অগুন ও ভাংচুরের অভিযোগে টুকুসহ বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাতটি মামলা করা হয়।”
মামলাগুলো করেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ হোসেন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম হায়দার, সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক কে এম সাইফুল ইসলাম, তৎকালীন র্যাব-১২-এর ডিএডি আবু কর সিদ্দীক, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার এসআই আসলাম আলী, দিনাজপুরের পার্বতীপুর জিআরপি থানার এএসআই গোলাম তৌহিদ, সিরাজগঞ্জ বাজার জিআরপি থানার এএসআই কাজী সাইদুর রহমান।
আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, ইতোমধ্যেই মামলাগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে টুকুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, একটি মামলা অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম ও তিনটি মামলা বিচারিক হাকিম আদালতে রয়েছে।
“তিনটি মামলায় জামিন আবেদন করে টুকু আদালতে আত্মসমর্পণ করলে শুনানি শেষে বিচারক জাফরোল হাছান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।”