শুক্রবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে তদন্তকেন্দ্রের ভেতরেই ২৬ বছর বয়সী এই পুলিশ সদস্য নিজের মাথায় রাইফেল ঠেকিয়ে গুলি করেন বলে জানান বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি তৌহিদুল কবির।
নিহত তুষার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার রহমতনগর এলাকার মৃণাল কান্তি দে’র ছেলে।
ওসি কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তুষার কিছুদিন আগে ঘুমধুম তদন্তকেন্দ্রে যোগ দেন। সেখানে যাওয়ার সময় থেকে তাকে বেশ বিষণ্ন দেখাচ্ছিল।”
প্রত্যক্ষদর্শী সহকর্মীদের বরাতে ওসি কবির বলেন, “তুষার পারিবারিক কোনো ঘটনায় হতাশায় ভুগছিলেন। শুক্রবার সকালে আকস্মিকভাবে নিজের সার্ভিসের রাইফেল মাথায় ঠেকিয়ে ট্রিগার টিপে দেন।
“গুরুতর আহত তুষারকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
বান্দরবানের লামা সার্কেলের এএসপি ভূঁইয়া মাহবুব হাসানও একই কথা বলেন।
“আমি শুনেছি তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। আজ আকস্মিকভাবে নিজের সার্ভিসের রাইফেল মাথায় ঠেকিয়ে ট্রিগার টিপে দেন।”
তুষারকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ।
তিনি বলেন, “তার মাথায় গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
লাশ ময়নাতদন্তসহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।