কুনিও হত্যা: সাক্ষ্য শেষ, যুক্তিতর্ক ১৯ ফেব্রুয়ারি

প্রায় ১৭ মাস আগে রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2017, 09:27 AM
Updated : 14 Feb 2017, 09:31 AM

রংপুরের বিশেষ জজ নরেশচন্দ্র সরকার আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন রেখে এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রথীশচন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে আসামি জেএমবি সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ওরফে রাহুলের (৩০) পক্ষে একজনের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

“পরে বিচারক নরেশচন্দ্র সরকার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি ঠিক করে দেন।”

সাখাওয়াতের পক্ষে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়াবাড়ি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মজিদ মণ্ডল সাফাই সাক্ষ্য দেন বলে জানান আইনজীবী রথীশ।

সাখাওয়াতের বাড়ি ওই ইউনিয়নের হলদিয়ার চর এলাকায়।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।

আসামি মাসুদ রানা ও সাদ্দাম হোসেনের গুলিতে কুনিও মারা যান বলে তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানর ওসি আব্দুল কাদের জিলানী তার সাক্ষ্যে বলেছেন।

মামলাটিতে ৫৭ সাক্ষীর মধ্যে ৫৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। দুই সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ শেষের আদেশ দেয়।

আইনজীবী রথীশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকালে পুলিশ অভিযোগপত্রভুক্ত আট আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা পাঁচজনকে আদালতে হাজির করে।

গত ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকালে নগরীর মুন্সিপাড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে রিকশায় করে কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে ঘাষের খামারে যাওয়ার পথে গুলিতে মারা যান ৬৬ বছর বয়সী জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি।

ওই দিনই কাউনিয়া থানার তৎকালীন ওসি রেজাউল করিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যামামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত বছরের ৩ জুলাই জেএমবির আট সদস্যের বিরুদ্ধে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরে মামলাটি বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।

মামলার গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি হলেন - জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মন্ত্রী, সদস্য ইছাহাক আলী, লিটন মিয়া, আবু সাঈদ ও সাখাওয়াত হোসেন ওরফে রাহুল।

পলাতক আসামিদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুল গত ৫ জানুয়ারি রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এবং নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক নজরুল ওরফে হাসান গত বছরের ২ অগাস্ট ভোরে রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান।

আরেক আসামি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার মকর রাজমাল্লী এলাকার আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব এখনও পলাতক। বিপ্লব রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বিপ্লব গত বছরের জানুয়ারি থেকে অনুপস্থিত বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইব্রাহীম কবীর।

কুনিও হত্যামামলার আটক পাঁচ আসামি কাউনিয়া উপজেলায় মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা ও বাহাই নেতা রুহুল আমীন হত্যাচেষ্টা মামলারও অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। আর পলাতক আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব বাহাই নেতা হত্যা চেষ্টা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।