আটকের পরপরই কুণ্ডেরচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মল্লিক অসুস্থ হয়ে পড়ায় পুলিশ পাহারায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান জাজিরা থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম।
দুই সপ্তাহ আগের ওই ঘটনার ভিডিওচিত্র শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তা নিয়ে ওই এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
নির্যাতনের শিকার ওই ইউনিয়নের আবদুল মান্নান মল্লিককান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী ও ঘাটকুল আবদুল মন্নান মল্লিককান্দি গ্রামের এক তরুণ (১৮)।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, অপ্রাপ্তবয়স্ক ওই তরুণ ও কিশোরী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাসাইলবাড়ি এলাকায় তাদের আটক করেন স্থানীয় আমির হোসেন মল্লিক ও সুলতান মল্লিক এবং ‘বিচার করেন’ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মল্লিক।
এরপর ওই বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে সবার সামনে তাদের জুতাপেটার পর জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো হয়।
এ ব্যাপারে এখনও মামলা হয়নি।
ওসি নজরুল বলেন, ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করা হয়েছে। পরে নির্যাতনের শিকার ছেলেমেয়েকে থানায় এনে তাদের কথামতো মামলা রুজু করা হবে।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, এ বিষয়ে মামলা হবে। নির্যাতিতরা মামলা করতে সাহস না পেলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।