নাজমুল হুদা বিএনএফেও, বিএনপিতেও!

কয়েক মাস আগে বিএনএফকে বিলুপ্ত করার ঘোষণা দিয়েও আবার নিজেকে সেই দলটির ‘চেয়ারম্যানের’ দায়িত্ব নিয়েছেন নাজমুল হুদা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2014, 04:10 PM
Updated : 2 Jan 2014, 04:10 PM

পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে বিএনএফের প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন জানিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এক নেতা আবার নিজে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

বিতর্কিত দল বিএনএফের ‘চেয়ারম্যান’ হিসেবে বৃহস্পতিবার দায়িত্ব নেন নাজমুল হুদা। তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় নিজের কার্যালয়ে এই দায়িত্ব নিয়ে দলের পাল্টা কমিটি গঠনও করেন তিনি।

দশম সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন পাওয়া দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এর চেয়ারম্যান ছিলেন নাজমুল হুদা, প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন আবুল কালাম আজাদ।

জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ ধারণের দাবি করা বিএনএফকে নিয়ে বিএনপি আপত্তি জানালে নাজমুল হুদা ও আবুল কালামের মতদ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তারা পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারও করেন। এর এক পর্যায়ে নাজমুল হুদা বিএনএফ বিলুপ্তির ঘোষণা দেন।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নিয়ে আবুল কালাম আজাদ বিএনএফকে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। অন্যদিকে তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বহিষ্কৃত মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ জুটেছেন নাজমুল হুদার সঙ্গে।

নাজমুল হুদার কার্যালয়ে মানিকগঞ্জের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশকে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান,  নাটোর জেলা সভাপতি শহিদ চৌধুরীকে মহাসচিব এবং শরীয়তপুর জেলা সভাপতি আরিফুল ইসলাম কাঁকনকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকদের সামনে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।  

নাজমুল হুদা বলেন, “বিএনএফএর চেয়ারম্যান হলেও আমি বিএনপিতে আছি। বিএনপিই আমার শেষ ঠিকানা।”

“আমি বিএনপি থেকে নির্বাচন করব। আর চেয়ারম্যান হিসেবে আমার দল বিএনএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন দেব।”

এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক এই সভাপতি বলেন, “একদলের চেয়ারম্যান হয়ে অন্যদল থেকে নির্বাচন করা কোনো সাংঘর্ষিক বিষয় নয়।”

বিএনএফের প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ ‘স্বৈরাচারী’ কায়দায় দল চালাচ্ছেন দাবি করে নাজমুল হুদা বলেন, “আজাদ তার মেয়ের জামাইকে নিয়ে দলকে পকেট কমিটিতে পরিণত করেছে।

“দলের আয় ব্যয়ের কোনো হিসাব দিচ্ছেন না। ফলে রাজনৈতিকভাবে দলটি জামাই-শ্বশুরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।”

দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনএফের টেলিভিশন প্রতীকে প্রার্থীর সংখ্যা ২২ জন হলেও ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে বলে দাবি করে তা না দেয়ার জন্য আজাদকে দায়ী করেন নাজমুল হুদা।

আজাদের হাত থেকে ‘রক্ষা’ করতেই দলের নেতাকর্মীদের অনুরোধে ‘চেয়ারম্যানের’ দায়িত্ব নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।