কয়েকদিন ধরে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে সরকারের উন্নয়নচিত্রের বিলবোর্ড স্থাপনের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার এই কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া ও এম কে আনোয়ার।
গত চার বছরে দেশের কোনো উন্নয়ন আওয়ামী লীগ করতে পারেনি দাবি করে রফিকুল ইসলাম বলেন, “এখন তারা বিলবোর্ড দিয়ে বলছে, সমস্ত দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে।”
জাতীয় প্রেসক্লাবে সকালে ‘অল কমিউনিটি ফোরাম’ নামে একটি সংগঠনের আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।
দুপরে প্রেসক্লাবে ড্যাবের আলোচনা সভায় এম কে আনোয়ার বলেন, “গত সাড়ে চার বছরে সরকারের অপশাসন, দুর্নীতি ও ব্যর্থতার চিত্র জনগণ দেখেছে। তারা কোনো উন্নয়ন করেনি। এখন বিলবোর্ডের মাধ্যমে উন্নয়নের ঢোল বাজাচ্ছে।
“পাঁচ সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর এখন তারা নতুন কৌশল হিসেবে জনগণকে উন্নয়নের কথা বলে বিভ্রান্ত করছে। আমরা বলতে চাই, এই বিলবোর্ড দিয়ে কোনো লাভ হবে না।”
সন্ধ্যায় এক ইফতার অনুষ্ঠানে ফখরুল বলেন, “সরকার যতই বিলবোর্ড প্রচারণায় উন্নয়নের ফিরিস্ত দিক, জনগণ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে, আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
“সরকারকে বলব, বিলবোর্ড প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে আর বিভ্রান্ত করতে পারবেন না।”
রফিকুল বলেন, পাঁচ সিটি কর্পোরেশনে সরকার সমর্থকদের ভোট না দিয়ে জনগণ সরকারের প্রতি ‘অনাস্থা’ জানিয়েছে।
এম কে আনোয়ার বলেন, “সরকারকে বলব, কোথায় কোথায় আপনারা উন্নয়ন করেছেন, তার হিসাব দিন। মিথ্যাচার করে লাভ হবে না।”
রফিকুল নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঈদের পর জোরদার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে সেজন্য প্রস্তুতি নিতে বিরোধী দলেরে কর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
নির্দলীয় সরকারের দাবি তুলে এম কে আনোয়ার বলেন, “সরকারকে বলব, ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখে কোনো লাভ হবে না। যুক্তিসঙ্গত একটি সমঝোতার পথ খুঁজে বের করতে আলোচনায় বসুন। যদি না করেন, আওয়ামী লীগ রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।”
প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী। প্রধানমন্ত্রীর পুত্রবধূ বিদেশি। তার মেয়ে ও মেয়ের জামাই থাকেন বিদেশে। তার বোনের ছেলে-মেয়েরাও থাকেন বিদেশে। তারা বিয়ে করেছেন বিদেশিদের। প্রধানমন্ত্রীর নিকট আত্মীয়-স্বজনরা কেউ বাংলাদেশে থাকেন না।”