সমাজ-সভ্যতা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অপরিমেয় ভূমিকা পালন করলেও বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার। প্রচণ্ড পরিশ্রমের পরও তারা ন্যায্য মজুরি পায় না। নিয়মিত কাজ নেই। অধিকাংশ শ্রমজীবী মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়। তারা সন্তানদের লেখাপড়া করাতে পারে না। চিকিৎসাসেবা থেকেও তারা এবং তাদের সন্তানরা বঞ্চিত। এ পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী মানুষের সংগঠন তাদের স্বার্থ ও অধিকার আদায়ের আন্দোলনের প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংগঠনগুলো যেমন গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, ঠিক তেমনি শ্রমিক আন্দোলনও কার্যকর শ্রমিক-আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। শ্রমিক-কর্মচারীরা দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে যতটুকু অধিকার অর্জন করেছিল, বর্তমানে তার অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত।