ঢাকায় ‘লাইফ অব পাই’

অস্কার আসরে ‘সেরা পরিচালক’ খেতাব জয়ী অ্যাং লির ‘লাইফ অব পাই’ এবারে দেখা যাবে ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে। ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি ১৫ মার্চ থেকে প্রদর্শন করবে স্টার সিনেপ্লেক্স। সিনেমাটির টাইটেল স্পনসরশিপ এবং সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বাংলালিংক। এতে অভিনয় করেছেন বলিউডি অভিনেত্রী টাবু এবং ইরফান খান। ১২ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এ ছবি এ পর্যন্ত আয় করেছে ৫৯.৯ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি।

রাশেদ শাওনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2013, 08:18 AM
Updated : 13 March 2013, 08:19 AM

এ বিষয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সিনেমাটির আসল মজা এর থ্রি-ডি ভার্সনে। ইতিমধ্যেই অনেকে হয়তো বাড়িতে বসে সিনেমাটি দেখেছেন, তবে তারা সিনেমাটির অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হয়েছেন। কেননা সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে থ্রি-ডি ভার্সনে। তাছাড়া এতে এমন কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যা সিনেমা পর্দায় না দেখলে উপভোগ করা সম্ভব নয়। ঢাকার দর্শকদের সিনেমাটি নিয়ে অনেক আগ্রহও রয়েছে। আগ্রহীদের কথা বিবেচনা করেই সিনেমাটি আমরা ঢাকায় মুক্তি দিচ্ছি।’

চারদিকে নীল জল। ওপরে নীল আকাশ। প্রশান্ত মহাসাগরে এভাবেই ২২৭ দিন ধরে লাইফবোটে ভেসে চলেছে পাই আর রিচার্ড পার্কার। রিচার্ড পার্কার কোনো মানুষ নয়, ৪৫০ পাউন্ড ওজনের হিংস্র এক রয়্যাল  বেঙ্গল টাইগার। পুদুচেরি বোটানিক্যাল গার্ডেনে পাইয়ের বাবার একটি চিড়িয়াখানা ছিল। ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থার সময়ে চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলোকে আমেরিকায় এক সার্কাস কোম্পানির কাছে বিক্রি করে কানাডার অভিবাসী হওয়ার কথা ভাবেন পাইয়ের মা-বাবা। জাহাজে বাঘ, ওরাংওটাং, জেব্রা সকলকে তোলা হয়। কিন্তু মাঝসমুদ্রে জাহাজডুবি। পাইয়ের মা-বাবা-দাদা সকলের সলিল সমাধি। লাইফবোটে পাইয়ের সঙ্গে একটি জেব্রা, ওরাংওটাং ও হায়না চলে আসে। কয়েকদিন পর দেখা যায়, বোটের নীচে বসে আছে রিচার্ড পার্কার। অন্য জন্তুদের সে খেয়ে ফেলে। শুধু বেঁচে থাকে পাই। বাঘ মাঝে মাঝে আক্রমণ করতে চায়, কিন্তু কিশোর পাই বুদ্ধি করে তাকে পানীয় জল দেয়, সমুদ্রের মাছ ধরে খাওয়ায়। বাঘে-মানুষে সহাবস্থানের এই কাহিনী পুরোটাই থ্রিডিতে।

অ্যাকশন-প্যাক্ড ‘ক্রাউচিং টাইগার হিডেন ড্রাগন’ থেকে রোমান্টিক ‘ব্রোকব্যাক মাউন্টেন’-এর পরিচালক অ্যাং লি’র এটি প্রথম থ্রিডি সিনেমা। পৃথিবী জুড়ে তিন হাজার ছেলের অডিশন থেকে দিল্লির ১৭ বছর বয়সি সুরজ শর্মাকে বেছে নেন পরিচালক। থাইল্যান্ডের একটি স্টুডিতে জলাশয় তৈরি করে সেখানে ঢেউ সৃষ্টি করে বানানো হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর। সিনেমাটির ৯০ শতাংশ জুড়ে ডিজিটাল বাঘ, বাকি ১০ শতাংশে আসল বাঘ। দিনের পর দিন সুরজকে বাঘের চলাফেরা, হাবভাব দেখতে শিখিয়েছেন অ্যাং লি।

সিনেমাটি ২০১৩ সালের অস্কারে  ‘সেরা পরিচালক’সহ সর্বাধিক চারটি পুরস্কার জিতে নেয়। ইয়ান মার্টেলের উপন্যাস অনুসারে সিনেমাটি সেরা পরিচালক, টেকনিক্যাল অ্যাওয়ার্ড ‘সেরা চিত্রগ্রহণ’, ‘বেস্ট ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট’, এবং ‘বেস্ট অরজিনাল স্কোর’-এর পুরস্কারও পায়।