খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। আগের দিন সাংবাদিকদের কাছে নিজের দল নিয়ে আশার কথা জানান মিসবাহ।
“এটা সম্পূর্ণ আলাদা একটা দল এবং আমাদের দলে টেস্টের বিশেষজ্ঞ খেলোয়াড় আছে, যারা নিজেদের ভূমিকাটা জানেন এবং গত চার-পাঁচ বছর ধরে আসলেই ভালো খেলছেন। তাই আমি মনে করি, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি থেকে এটা সম্পূর্ণ আলাদা।”
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবায় বাংলাদেশ। আর সফরের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও স্বাগতিকদের কাছে ৭ উইকেটে হারে পাকিস্তান। এ কারণে টেস্ট সিরিজে মুশফিকের দলটিকে অনেকে এগিয়ে রাখলেও হাল ছাড়ছেন না মিসবাহ।
টেস্টের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অবশ্য অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে পাকিস্তানকে। সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে তারা। আর তার আগের সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারায় মিসবাহরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের দুই সিরিজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান অতিথি দলের অধিনায়ক।
“আমাদের টেস্ট দলটা অভিজ্ঞ এবং লম্বা সময় ধরে টেস্টে এই দলই খেলছে। আশা করি, অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দুবাইয়ে যেভাবে খেলেছি, সে ধারাবাহিকতা আমরা ধরে রাখতে পারব।”
বোলিং ত্রুটি শুধরে ফেরা সাইদ আজমল বাংলাদেশ সফরে এখনো জ্বলে উঠতে পারেননি। তবে সতীর্থের ওপর আস্থা রাখছেন মিসবাহ। তিনি মনে করেন, দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা আজমলের নিজের সেরাটা ফিরে পেতে আরও সময় দরকার।
খুলনার উইকেট নিয়েও খুব একটা চিন্তিত নন মিসবাহ। ৪০ বছর বয়সী এই অধিনায়ক মনে করেন, আবু নাসের স্টেডিয়ামের উইকেট ধীরগতির হবে। তবে প্রথম টেস্টের একাদশ কিংবা বোলিং লাইনআপে তিন পেসার থাকবে কিনা, এসব জানাতে রাজি হননি মিসবাহ।