শনিবার ওয়েলিংটনে স্বাগতিকদের কাছে পাকিস্তানের হারটি ৭ উইকেটে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৫.৩ ওভারে ২১০ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ৩৯.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান তোলে নিউ জিল্যান্ড।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। নিউ জিল্যান্ডের ফাস্ট বোলিংয়ের তোপে শুরুতেই এলোমেলো হয়ে পড়ে সফরকারীদের ইনিংস।
স্কোর বোর্ডে কোনো রান না উঠতেই আউট হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ হাফিজ। দলের ৩২ রানেই আরও দুই ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদ ও ইউনুস খানকে হারায় সফরকারীরা।
এরপর হারিস সোহেলকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ। চতুর্থ উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়ে ২৩ রান করা সোহেল আউট হয়ে গেলে এই প্রতিরোধ ভাঙে।
৪৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে আবার দিগভ্রান্ত হয়ে পড়ে পাকিস্তানের ইনিংস। ৩ উইকেটে ৮১ রান থেকে পাকিস্তানের স্কোর হয়ে যায় ৬ উইকেটে ১২৭ রান।
এরপর আফ্রিদির সঙ্গে জুটি গড়েন মিসবাহ। দুজনে মিলে ৭১ রান তোলেন। ১১.২১ গড়ে রান তোলা ৬.২ ওভার স্থায়ী জুটিটি ভাঙে ৮৭ বলে ৫৮ রান করে মিসবাহ আউট হয়ে গেলে।
সপ্তম উইকেট জুটিতে আসা ৭১ রানের মধ্যে ৬২ রানই নেন আফ্রিদি। শেষে ২৯ বলে ৬৭ রান করে আউট হন পাকিস্তানের এই মারমুখী অলরাউন্ডার। ইনিংসটি তিনি সাজান ৯টি চার ও ৩টি ছয়ে।
নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে ২৬ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান এলিয়ট। দুটি করে উইকেট নেন কাইল মিলস, ট্রেন্ট বোল্ট ও কোরি অ্যান্ডারসন। পাকিস্তানের বাকি উইকেটিও নেন নিউ জিল্যান্ডের আরেক পেসার অ্যাডাম মিলনে।
৪টি চারে ৮১ বলে অপরাজিত ৫৯ রান করেন টেইলর। আর ম্যাচ সেরা এলিয়ট অপরাজিত ৬৪ রান করেন ৬৮ বলে। ইনিংসটিতে আটটি চার মারেন তিনি।
পাকিস্তানের পক্ষে একটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ ইরফান, বিলওয়াল ভাট্টি ও আফ্রিদি।
দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেটি নেপিয়ারে হবে আগামী মঙ্গলবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৪৫.৩ ওভারে ২১০ (হাফিজ ০, শেহজাদ ১৫, ইউনুস ৯, মিসবাহ ৫৮, সোহেল ২৩, আকমল ১৩, সরফরাজ ৫, আফ্রিদি ৬৭, ভাট্টি ০, আদিল ৬, ইরফান ১*; এলিয়ট ৩/২৬, বোল্ট ২/২৫, মিলস ২/২৯, অ্যান্ডারসন ২/৪৭, মিলনে ১/৪৩)।
নিউ জিল্যান্ড: ৩৯.৩ ওভারে ২১৩/৩ (গাপটিল ৩৯, ম্যাককালাম ১৭, ল্যাথাম ২৩, টেইলর ৫৯*, এলিয়ট ৬৪*; আফ্রিদি ১/৩৯, ভাট্টি ১/৫১, ইরফান ১/৬০)।
ফল: নিউ জিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: গ্র্যান্ট এলিয়ট (নিউ জিল্যান্ড)।
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে নিউ জিল্যান্ড ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।