বাংলাদেশে এই সিরিজের আয়ের ৫০ শতাংশ চায় পাকিস্তান। বাংলাদেশকে তাদের অনূর্ধ্ব-১৯ এবং ‘এ’ দল পাকিস্তানে পাঠাতে বলেছে তারা।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিবি এই শর্ত মেনে নিলে পাকিস্তান বাংলাদেশ সফরে আসবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি।
পিসিবি নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা বিসিবিকে জানিয়েছে। এছাড়া চুক্তির সবকিছু লিখিত করার কথাও দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে তারা। বিশ্বকাপ শেষে এই সফরের বিষয় চূড়ান্ত করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আলোচনায় বসবে পিসিবি ও বিসিবি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচি অনুযায়ী, আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে এবং একটি টি-টোয়েন্টি খেলতে পাকিস্তান দলের বাংলাদেশে আসার কথা। অবশ্য এখন পর্যন্ত এই সফরের আসার ব্যাপারে বিসিবিকে নিশ্চয়তা দেয়নি পিসিবি।
বিসিবির সঙ্গে পিসিবির সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। জাকা আশরাফ পিসিবি প্রধান থাকার সময়ে বাংলাদেশের দুটি প্রস্তাবিত সফর বাতিল হওয়ায় দুই বোর্ডের সম্পর্কের অবণতি ঘটে।
২০১২ সালের এপ্রিল ও ডিসেম্বরে বিসিবি সফর বাতিল করায় ২০১৩ সালের বিপিএলে পাকিস্তানের সব খেলোয়াড়কে প্রত্যাহার করে পিসিবি। পরে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও ক্রিকেটারদের পাঠায়নি তারা।
২০০৯ সালের মার্চে সফররত শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাকিস্তানে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর সফর বন্ধ রয়েছে।