মুক্তিযুদ্ধের দুই বীর শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল ও শহীদ মুশতাক আহমেদের স্মরণে ১৯৭২ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই প্রীতি ম্যাচ। দুই দলে ভাগ হয়ে এতে এবার মুখোমুখি হয়েছিলেন সাবেক ক্রিকেটাররা।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০ ওভারের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শহীদ জুয়েল একাদশ ৭ উইকেটে ১৩২ রান করে।
সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ম্যাচ সেরা হাবিবুল বাশার। তার ৪৪ বলের ইনিংসটি গড়া ৭টি চারে। তার সঙ্গে ৯৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়া জাভেদ ওমর বেলিমের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।
এছাড়া আকরাম খান করেন ১৬ রান। চতুর্থ সর্বোচ্চ ১৪ রান আসে অতিরিক্ত থেকে।
শহীদ মুশতাক একাদশের নাঈমুর রহমান ও সাইফুল্লাহ জেম তিনটি করে উইকেট নেন।
জবাবে ১৬ ওভার ৫ বলে ৮৩ রানে অলআউট হয়ে যায় শহীদ মুশতাক একাদশ।
সর্বোচ্চ ৩৫ রান বরেন সাজ্জাদ আহমেদ শিপন। তিনি ছাড়া দুই অঙ্কে পৌঁছান কেবল এহসানুল হক (১০)।
এই দুই জন ছাড়া আর কেউ ভালো করতে না পারায় একশ’ পর্যন্ত যায়নি ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন দলটির সংগ্রহ।
শহীদ জুয়েল একাদশের জিয়াউর রশীদ ও শফিউদ্দিন আহমেদ তিনটি করে উইকেট নেন।
শহীদ জুয়েল ছিলেন আজাদ বয়েজ ক্লাবের আক্রমণাত্মক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্ত্র হাতে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন তিনি। কিন্তু পাক হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে শহীদ হন তিনি।
ক্রীড়া সংগঠক শহীদ মুশতাক ছিলেন আজাদ বয়েজ ক্লাবেরই অন্যতম প্রধান সংগঠক। ২৫ মার্চের কালো রাতে দখলদার বাহিনীর হাতে প্রিয় ক্লাবের খুব কাছেই শহীদ হন তিনি।