বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফারুক বলেন, “ইডেনে আমরা 'এ' দলের আদলে সম্ভাব্য সেরা ওয়ানডে দল পাঠাচ্ছি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে যাদের খেলার সম্ভবনা রয়েছে তাদেরকেই পাঠাচ্ছি।”
ছন্দ হারিয়ে ফেলা নাসির হোসেনকেও দেখা যেতে পারে ইডেন টুর্নামেন্ট। সেক্ষেত্রে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলা হবে না তার। ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের এই সিরিজ। আর চার দলের ইডেন টুর্নামেন্ট হতে পারে ২৩ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।
“নাসির বিবেচনায় আছে। আমি বলেছি, যারা ওয়ানডে খেলবে তারাই সুযোগ পাবে। নাসির তো বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটেই খেলছে, সম্ভাবনা আছে।”
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে ২১ ও ২৩ নভেম্বর প্রথম দুটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। ২৬ ও ২৮ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর ঢাকায় হবে শেষ তিনটি ওয়ানডে।
ইডেনের সার্ধশত পূর্তি উপলক্ষে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) মাসব্যাপী আয়োজনে থাকবে চারটি দল নিয়ে একটি টুর্নামেন্টও। এতে একটি দল পাঠাতে বিসিবিকে চিঠি পাঠান ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডে আগামী বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সংস্করণে শেষবার খেলবে বাংলাদেশ। তাই পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধান নির্বাচক।
“আমাদের প্রথম লক্ষ্য টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জেতা। এর সঙ্গে বিশ্বকাপের ‘কম্বিনেশন’ তৈরিরও চেষ্টা থাকবে। আমাদের কিছু ব্যাটসম্যান ছন্দে নেই। বিশ্বকাপ না থাকলে নতুন কাউকে দিয়ে চেষ্টা করা যেত।”
সাবেক অধিনায়ক ফারুক মনে করেন, দলের সমন্বয় ধরে রাখতে বারবার পরিবর্তনের চেয়ে ছন্দ হারিয়ে ফেলা খেলোয়াড়কে ছন্দে ফেরানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।