৭ ম্যাচে টানা সপ্তম জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শীর্ষে রয়েছে গাজী। দুই নম্বরে থাকা আবাহনীর চেয়ে চার পয়েন্টে এগিয়ে আছে দলটি। ব্রাদার্সের এটি পঞ্চম হার।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শনিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ বল বাকি থাকতে ২৩৬ রানে গুটিয়ে যায় গাজী। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতে ২২৬ রানে অলআউট হয় ব্রাদার্স।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি ব্রাদার্সের। ৩১ রানের মধ্যে হারায় প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে। মানভিন্দর বিসলার সঙ্গে অধিনায়ক কাপালীর ৭৮ রানের জুটিতে গড়ে প্রতিরোধ।
৬টি চারে ৪৯ রান করে কাপালী ফিরে যাওয়ার পর দ্রুত তাকে অনুসরণ করেন কাজী কামরুল ইসলাম। এবার ধীমান ঘোষকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন বিসলা। দুই জনে দলকে নিয়ে যান ৫ উইকেটে ১৬৯ রানে।
৬০ রানের দারুণ জুটিতে ম্যাচ তখন ব্রাদার্সের দিকে হেলে পড়েছে। চার বলের মধ্যে দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে বিদায় করে আবার ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন পেসার হায়দার।
৫৬ রান করতে ৯৫ বল খেলেন বিসলা। ৪৩ বলে ৩২ রান আসে ধীমানের ব্যাট থেকে।
মোহাম্মদ সাদ্দাম, নিহাদউজ্জামানের দ্রুত বিদায়ের পর দশম উইকেটে নাঈম হাসান মাইশুকুরের সঙ্গে জুটি বাধার সময় ব্রাদার্সের প্রয়োজন ছিল ৪৩ রান।
৩২ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথেই রেখেছিলের এই দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু নাঈমের রান আউটে এক রাশ হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় মাইশুকুরকে। বিফলে যায় তার দারুণ লড়াই, ৩৮ বলে অপরাজিত থাকেন ৩৮ রানে।
৫২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে গাজীর সেরা বোলার বাঁহাতি পেসার হায়দার। দুটি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান।
এর আগে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন ম্যাচ সেরা এনামুল। তবে তিন ম্যাচের মধ্যে দ্বিতীয়বার তাকে ফিরতে হয় শতক না পাওয়ার হতাশা নিয়ে। আবাহনীর বিপক্ষে করেছিলেন ৯৭ রান, এবার খেলেছেন ৯৩ রানের চমৎকার ইনিংস। ডানহানি এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের ৯৭ বলের ইনিংসটি সাজানো ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায়।
এক সময়ে দলকে ৪ উইকেটে ১৮৬ রানে দাঁড় করিয়েছিলেন এনামুল। সেখান থেকে আড়াইশ ছাড়ানো খুব কঠিন ছিল না। কিন্তু শেষে নিয়মিত উইকেট হারানোয় তত দূর যেতে পারেনি গাজী।
দলটি শেষ ৬ উইকেট হারায় ৫০ রানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন প্রমোশন পেয়ে চার নম্বরে নামা সোহরাওয়ার্দী শুভ। অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরীর ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।
ব্রাদার্সের মোহাম্মদ সাদ্দাম ও কাপালী নেন তিনটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৪৮.৪ ওভারে ২৩৬ (এনামুল ৯৩, জহুরুল ৪, মুমিনুল ১৫, শুভ ৪১, রসুল ৬, নাদিফ ৩৩, ফারুক ৫, মেহেদী ৯, আলাউদ্দিন ১৯*, শহিদুল ৩, হায়দার ৫; সাদ্দাম ৩/৩৪, মাইশুকুর ১/২৭, নাঈম ০/৩২, কাপালী ৩/৪৮, নিহাদউজ্জামান ১/৪৬, বিসলা ১/১৭, কামরুল ০/৩২)
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৪৮.৫ ওভারে ২২৬ (মিজানুর ০, জুনায়েদ ১৪, ফরহাদ ১৪, কাপালী ৪৯, বিসলা ৫৬, ধীমান ৩২, মাইশুকুর ৩৮*, সাদ্দাম ২, নিহাদউজ্জামান ৭, নাঈম ৯; হায়দার ৪/৫২, আলাউদ্দিন ০/৩৭, মেহেদী ২/৪৩, রসুল ১/৩০, শুভ ০/২৯, মুমিনুল ০/৬, শহিদুল ২/২৯)
ফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ১০ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: এনামুল হক