ছক্কায় মালিকের সেঞ্চুরি, পাকিস্তানের সিরিজ জয়

শেষ দিকে টানটান উত্তেজনা। তবে ম্যাচের ফল নিয়ে নয়, শোয়েব মালিকের সেঞ্চুরির সম্ভাবনায়! দলের জিততে চাই ৪ রান, মালিকের সেঞ্চুরি হতে ৫। জেসন হোল্ডারকে মাথার উপর দিয়ে উড়িয়ে মালিকের আনন্দ চিৎকার। একই শটে নিজের সেঞ্চুরি, দলের জয়!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2017, 05:21 AM
Updated : 12 April 2017, 06:10 AM

জয় শুধু ম্যাচে নয়, সিরিজেও। শেষ ওয়ানডেতে মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। গায়ানায় ক্যারিবিয়ানদের ২৩৩ রান পাকিস্তান পেরিয়ে যায় ৪১ বল বাকি রেখেই!

প্রথম ওয়ানডে হারার পর পরের দুটি জিতে পাকিস্তান জিতে নিল তিন ম্যাচের সিরিজ। ধরে রাখল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অসাধারণ অপরাজেয় যাত্রাও। এই নিয়ে দুই দেশের লড়াইয়ে টানা নবম সিরিজ জিতল পাকিস্তান। সিরিজ হারেনি ১৯৯১ সালের পর!

অথচ রান তাড়ার শুরুতে কাঁপছিল পাকিস্তান। ইনিংসের প্রথম বলেই হারায় তারা কামরান আকমলকে। লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় কাভারে!

একবার জীবন পেয়েও আহমেদ শেহজাদ ফেরেন ৩ রানে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বাবর আজম বল টেনে আনেন স্টাম্পে। পাকিস্তান তখন ৩ উইকেটে ৩৬।

কিন্তু এক জুটিতেই বদলে গেল চেহারা। মোহাম্মদ হাফিজ ও মালিক মিলে দলকে এগিয়ে নিলেন জয়ের পথে।

চতুর্থ উইকেটে ১১৩ রানের জুটি গড়েন পাকিস্তানের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান। অগ্রণী ছিলেন হাফিজই। ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৮১ করেছেন ৮৬ বলে।

এই জুটি ভাঙলেও জিততে সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের। পঞ্চম উইকেটে ৮০ বলে ৮৭ রানের অপরাজেয় জুটিতে দলকে জিতিয়ে ফিরেছেন মালিক ও অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।

শেষের ওই ছক্কায় মালিক পূর্ণ করেছেন নবম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ১০ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ১০১।

গায়ানার মন্থর উইকেটের বিবেচনায় এক পেসার কমিয়ে তিন স্পিনার নিয়ে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাজে লাগেনি সেটা। নতুন বলে দুই পেসারের দারুণ বোলিংয়ের পর প্রভাব ফেলতে পারেননি কোনো বোলারই।

ম্যাচের প্রথমভাগে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরে ইনিংসেও ছিল একটি শতরানের জুটি। কিন্তু ছিল না আর প্রায় কিছুই। প্রথম ৮ ব্যাটসম্যানই ছুঁয়েছেন দু অঙ্ক। কেউ পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। ৪০ রানের জুটিও ছিল না আর একটি।

দুই ওপেনারকে শুরুতে হারানোর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এগিয়েছে মন্থর গতিতে। একশ ছুঁতেই লেগে যায় ৩০ ওভার।

চতুর্থ উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়েন সাই হোপ ও জেসন মোহাম্মেদ। ৭১ রান করলেও হোপ খেলে ফেলেন ১১২ বল। প্রথম ম্যাচের নয়ক জেসন অবশ্য নিজের মতোই খেলে ৫৯ করেছেন ৫ চার ও ২ ছক্কায়।

শেষ দিকে ঝড় তোলার ভিত গড়া হয়েছিল ওই জুটিতে। উইকেটও ছিল হাতে। কিন্তু ঝড় ওঠেনি, উইকেট পড়েছে টপাটপ। রান তাই হয়নি খুব বেশি। পরে মালিকের সেঞ্চুরিতে সহজ হয়েছে পাকিস্তানের জয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২৩৩/৯ (লুইস ১৬, ওয়ালটন ১৯, পাওয়েল ২৩, হোপ ৭১, জেসন ৫৯, কার্টার ১১, হোল্ডার ১২, নার্স ১০*, পেরমল ৮, বিশু ০; আমির ২/৪১, জুনাইদ ২/৬০, হাসান ১/২৯, হাফিজ ০/২১, ইমাদ ১/২৪, শাদাব ২/৫৭)।

পাকিস্তান: ৪৩.১ ওভারে ২৩৬/৪ (আকমল ০, শেহজাদ ৩, বাবর ১৬, হাফিজ ৮১, মালিক ১০১*, সরফরাজ ২৪*; গ্যাব্রিয়েল ২/৬০, হোল্ডার ১/৩৭, বিশু ০/৪২, পেরমল ০/৩১, নার্স ১/৪৯, জেসন ০/১০)।

ফল: পাকিস্তান ৬ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: শোয়েব মালিক

সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী