পেরেরার সঙ্গেই পারল না বাংলাদেশ

ঝড়ের শুরু উপুল থারাঙ্গার ব্যাটে। এর পর প্রায় পুরো সময়টা দলকে টেনে নিলেন কুসল পেরেরা। সকালে ফিটনেস টেস্টে উতরে একাদশে জায়গা পাওয়া ওপেনার খেললেন দারুণ এক ইনিংস। শ্রীলঙ্কা জিতল ৬ উইকেটে।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 April 2017, 01:14 PM
Updated : 6 April 2017, 01:09 PM

আনুষ্ঠানিকতা সারলেন প্রসন্ন

দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে ফিরেছেন কুসল পেরেরা।  বাকি কাজটুকু সেরেছেন সিকুগে প্রসন্ন। ২ ছক্কায় করেছেন ১২ বলে অপরাজিত ২২ রান।

উইকেটে গিয়ে প্রথম বলেই চার মেরে দলের জয় এনে দিয়েছেন থিসারা পেরেরা। শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৭ বল আগেই।

২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার মাশরাফি। বাংলাদেশ অধিনয়ক খেললেন শেষের আগের ম্যাচ।

অবশেষে কুসল

দলকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে অবশেষে ফিরলেন কুসল পেরেরা। ১১ বল বাকি থাকতে বাঁহাতি ওপেনারকে ফেরালেন তাসকিন।

১২ বলে তখন শ্রীলঙ্কার চাই ৯ রান। তাসকিন ওভারের প্রথম বলটি করলেন বাউন্সার। পুল করার চেষ্টায় পেরেরা বল তুললেন আকাশে। ৫৩ বলে করেছেন ৭৭। 

জুটি ভাঙল রান আউটে

আবেদন ছিল এলবিডব্লিউর। সাড়া দেননি আম্পায়ার। দুই ব্যাটসম্যান চেয়েছিলে দ্রুত একটি রান নিতে। কিন্তু সাব্বির যে সজাগ!

ছুটে এসে বল কুড়িয়ে উল্টো ঘুরে গুলির বেগে থ্রো। সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট আসেলা গুনারত্নে। ফিরলেন ১৭ রানে। ভাঙল ৪১ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

১৫.৩ ওভারে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ১২০।

বেঁচে গেলেন কুসল

বাংলাদেশের সামনে মূল বাধা কুসল পেরেরা। সেই পেরেরার ক্যাচই ছাড়লেন তাসকিন। অভিষিক্ত সাইফ উদ্দিনের বলে সহজ ক্যাচ হাতে জমাতে পারলেন না তাসকিন।

৬৪ রানে জীবন পেলেন পেরেরা।

কুসলের ঝড়ো অর্ধশতক

চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন ওয়ানডে সিরিজ থেকে। এই ম্যাচ খেলতে পারছেন ম্যাচের আগে ফিটনেস টেস্টে উতরে। সেই কুসল পেরেরাই করলেন দারুণ এক অর্ধশতক।

মাত্র ৩১ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। মেরেছেন ৬টি চার ও ১টি ছক্কা।   ১১ ওভারে শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে ৯২।

মাশরাফির আরেকটি

আরেকটি উইকেট, যথারীতি শিকারি মাশরাফি। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ফেরালেন তিনে নামা দিলশান মুনাবিরাকেও।

দারুণ লাইন-লেংথে ব্যাটসম্যানদের শট খেলার জায়গাই দিচ্ছিলেন না মাশরাফি। মুনাবিরা চাইলেন জায়গা বানিয়ে খেলতে। মাশরাফিও বুঝে অনুসরণ করলেন ব্যাটসম্যানকে। ছুঁড়লেন তার মূল অস্ত্র দিলেন কাটার। বিভ্রান্ত মুনাবিরা দিলেন ফিরতি ক্যাচ। ফলো থ্রুতে অনায়াসে হাতে জমালেন মাশরাফি।

৮ রানে ফিরলেন মুনাবিরা। ৮.৪ ওভারে শ্রীলঙ্কা  তখন ২ উইকেটে ৭৯।

মাশরাফিই ত্রাণকর্তা

এই ম্যাচ তার শেষের শুরু। খেলবেন এরপর আর একটি টি-টোয়েন্টিতে। শেষ বেলায় এসেও দলের উদ্ধারকর্তা মাশরাফি। থারাঙ্গাকে ফিরিয়ে ভাঙলেন ঝড়ে উদ্বোধনী জুটি।

জায়গা বানিয়ে কাট করতে চেয়েছিলেন থারাঙ্গা। বুঝতে পেরে মাশরাফি দেন স্লোয়ার। বলটি লাফিয়েও উঠল একটু। থারাঙ্গা ব্যাট ছোঁয়ালেন। বল গেল শর্ট থার্ডম্যানে। সামনে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নেন মুস্তাফিজ।

২৩ বলে ২৪ রানে ফিরলেন থারাঙ্গা। শ্রীলঙ্কা তখন ৬.৫ ওভারে ১ উইকেটে ৬৫।

দারুণ শুরু শ্রীলঙ্কার

শুরুতেই চমকে দিলেন মাশরাফি। বাংলাদেশ অধিনায়ক বোলিং শুরু করলেন মাহমুদউল্লাহকে দিয়ে। দুই বাঁহাতিকে প্রথম ওভারটি দারুণ করলেন এই অফ স্পিনার। রান দিলেন মাত্র ২।

কিন্তু দ্বিতীয় ওভার থেকেই ভিন্ন চিত্র। তাসকিনের ওভারে উপুল থারাঙ্গা মারলেন তিনটি চার। মাশরাফি ও মুস্তাফিজ পরের দুই ওভারে একটু সামাল দিলেও সাকিবের ওপর চড়াও হলেন কুসল পেরেরা। ওভারে মারলেন দুই চার, এক ছক্কা।

৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা বিনা উইকেটে ৪৬। ১২ বলে ২০ রান পেরেরা, ১৮ বলে ২১ থারাঙ্গা।

দেড়শ ছাড়িয়ে বাংলাদেশ

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে গড় স্কোর ১৫৪। বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে এক রান বেশি। শ্রীলঙ্কার সামনে লক্ষ্য ১৫৬।

শেষ দিকে সেভাবে ঝড় তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে রানের চাকা থমকেও ছিল না। মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর রান বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন মোসাদ্দেক ও মাশরাফি।

২০ ওভারে বাংলাদেশ করেছে ৬ উইকেটে ১৫৫। ৩০ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক।

শেষ ওভারে বুদ্ধিদীপ্ত এক শটে বাউন্ডারিসহ মাশরাফি অপরাজিত ছিলেন ৫ বলে ৯ রানে।

শ্রীলঙ্কার হয়ে মালিঙ্গা নিয়েছেন ২ উইকেট। উমর গুল ও সাঈদ আজমলকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় সফলতম বোলার এখন মালিঙ্গা (৮৬)। তবে তার ৪ ওভারে বাংলাদেশ নিয়েছে ৩৮ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৫/৬ (তামিম ০, সৌম্য ২৯, সাব্বির ১৬, মুশফিক ৮, সাকিব ১১, মোসাদ্দেক ৩৪*, মাহমুদউল্লাহ ৩১, মাশরাফি ৯*; মালিঙ্গা ২/৩৮, কুলাসেকারা ০/৪৪, সঞ্জয়া ১/২৪, গুনারত্নে ১/২৪, প্রসন্ন ১/১৯)

মালিঙ্গার আরেকটি

প্রথম ওভারের পর মালিঙ্গাকে দারুণ খেলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তবে শেষ ওভারে আবারও নিলেন উইকেট। চেনা ঢঙয়েই। ইয়র্কারে বোল্ড!

নিখুঁত এক ইয়র্কার করলেন ব্যাটসম্যানের পায়ে। দারুণ খেলতে থাকা মাহমুদউল্লাহ ঠেকিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ব্যাটে লেগেও বোল্ড।

২৬ বলে ৩১ মাহমুদউল্লাহ। ১৮.১ ওভারে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৩৯ রান।

মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেকের লড়াই

সাকিবকে হারানোর পর দলকে এগিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন। দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে টানছেন দুজন।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে হয়ে গেছে পঞ্চাশ রান, ৩৮ বলে।

একশ ছাড়িয়ে বাংলাদেশ

প্রসন্নর স্পেলের শেষ বলে দারুণ এক কাভার ড্রাইভে চার মারলেন মাহমুদউল্লাহ। ওই শটেই বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেল একশ।

১৪ ওভারে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১০২। মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক, দুজনই খেলছেন ১২ রানে।

পারলেন না সাকিবও

দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে রান আউট করেছিলেন সাব্বিরকে। সিকুগে প্রসন্ন এবার বল হাতে ফেরালেন সাকিব আল হাসানকে।

অফ স্টাম্পের বাইরে ফ্লাইট দেওয়া বল কাভারের ওপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন সাকিব। বাইরের কানায় লেগে বল গেল পয়েন্টে। ১১ রানে ফিরলেন সাকিব। ১১.১ ওভারে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ৮২।

স্কুপ খেলে বোল্ড মুশফিক

এক ওভারে সাব্বির ও সৌম্যকে হারানো ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেও আরও একটি বড় ধাক্কা। বিদায় নিলেন মুশফিকুর রহিমও।

স্পিনের গতির স্লো মিডিয়াম পেসে এই সফরে বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছন আসেলা গুনারত্নে। আবারও নিলেন উইকেট। ঝুলিয়ে দেওয়া বলে স্কুপ খেলেছিলেন মুশফিক। বল এল আরও পরে। ব্যাট মিস করে লাগল অফ স্টাম্পে।

৮ রানে আউট মুশফিক। ৮.২ ওভারে বাংলাদেশ তখন ৪ উইকেটে ৭০।

জোড়া ধাক্কা

টানা তিনটি ডট বলে হয়ত একটু অস্থির হয়ে উঠেছিলেন সৌম্য। উড়িয়ে মারলেন ভিকুম সঞ্জয়াকে। স্লোয়ার বলে টাইমিং ঠিকমত হলো না। লং অনে ক্যাচ নিলেন থিসারা পেরেরা।

২০ বলে ২৯ রানে ফিরলেন সৌম্য। ওভারে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় সাফল্য। ৫.৫ ওভারে বাংলাদেশ তখন ৩ উইকেটে ৫৭।

রান আউটে শ্রীলঙ্কার স্বস্তি

একপাশে খুনে মেজাজে সৌম্য। আরেক পাশে সাব্বিরও ছিলেন দারুণ। শ্রীলঙ্কার মাথা ব্যথা হয়ে ওঠা জুটি শেষ পর্যন্ত সরল রান আউটে।

বলটা কাভারে পুশ করেই রান নিতে ছুটেছিলেন সাব্বির। কিন্তু দারুণ ক্ষিপ্রতায় ছুটে এসে সরাসরি থ্রোয়ে স্টাম্পস ভাঙেন সিকুগে প্রসন্ন। ১৪ বলে ১৬ রানে আউট সাব্বির।

৫.১ ওভারে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৫৭। দুজনের জুটি ছিল ২৯ বলে ৫৭ রানের।

তুলোধুনো মালিঙ্গা

প্রথম ওভারে ছোবল দেয়ার পর সরে গিয়েছিলেন মালিঙ্গা। কিন্তু সৌম্য ও সাব্বিরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পঞ্চম ওভারে আবার মালিঙ্গাকে আনেন লঙ্কান অধিনায়ক। এবার উঠল টর্নোডো!

মালিঙ্গার ওই ওভার থেকে আসে ১৭ রান। শেষ বলে অসাধারণ ফ্লিকে ছক্কা মারেন সৌম্য।  ৫ ওভারে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ৫৭।

বাংলাদেশের প্রতিআক্রমণ

শুরুতে তামিমকে হারানোর ধাক্কা অনেকটা কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমানের ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে দারুণভাবে ছুটছে দল।

৪ ওভারেই বাংলাদেশ তুলে ফেলেছে ৪০ রান। ১২ বলে ১৮ রান নিয়ে খেলছেন সৌম্য। ১০ বলে ১১ সাব্বির।

বাঁচলেন সৌম্য

তামিমের উইকেট কেবলই শুরু। মালিঙ্গার প্রথম ওভারে আরও ঘটনার ছড়াছড়ি।

ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্সার কিপারের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারিতে। ওয়াইড চার। পরের বলেই সাব্বিরের ব্যাটের কানা নিয়ে বল বাতাসে। কিন্তু যায়নি কোনো ফিল্ডারের কাছে।

ওভারের শেষ বলে মালিঙ্গা পেতে পারতেন আরও একটি উইকেট। স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। হাত ছুঁইয়েও বল জমাতে পারেননি মালিঙ্গা।

প্রথম ওভার শেষে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ৬।

শুরুতেই ফিরলেন তামিম

দলে ফিরেই জ্বলে উঠলেন লাসিথ মালিঙ্গা। শুরুতেই ফেরালেন তামিম ইকবালকে।

ম্যাচের প্রথম বলটিই মালিঙ্গা করেছিলেন ফুল লেংথ, বাঁহাতির জন্য ইনসুইং। ঠিকমত খেলতে না পারলেও ঠেকিয়েছেন তামিম। পরেরটি সুইং করে ঢুকল আরও বেশি। বল তামিমের ব্যাট ফাঁকি দিয়ে প্যাডে লেগে আঘাত করল স্টাম্পসে। শূন্য রানেই আউট তামিম।

কমেনি ওভার

বৃষ্টির জন্য খেলা শুরু হয়েছে ৪৫ ওভার দেরিতে। তবে কমেনি কোনো ওভার। আবার বৃষ্টি না হলে খেলা হবে পুরো।

টসের পর বৃষ্টি

আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢাকা ছিল অনেকক্ষণ ধরে। শঙ্কা ছিল যে কোনো সময়ে বৃষ্টি নামার। বাংলাদেশ দলের জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় এল বৃষ্টি। শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত শেষ হওয়া মাত্র ক্রিকেটাররা ছুটলেন ড্রেসিংরুমে। ততক্ষণে মাঠের অনেকটাই কাভারে ঢেকে ফেলেছেন আর প্রেমাদাসার মাঠকর্মীরা।

নতুন পেস বোলিং অলরাউন্ডার

মাশরাফির অবসরের ঘোষণার দিনেই অভিষেক হলো পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের।

সাইফ ছিলেন সদ্য সমাপ্ত ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের ম্যাচে বাংলাদেশ দলের সেরা পারফরমার। চার ম্যাচে সাত উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি লোয়ার অর্ডারে করেছেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু রান।

এর আগে বিসিএলে তিন ম্যাচে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট, করেছিলেন একটি অর্ধশতক। জাতীয় লিগে চার ম্যাচে উইকেট ছিল ১০টি, করেছিলেন দুটি অর্ধশতক। নজর কেড়েছিলেন দেশের মাটিতে গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও।

বাংলাদেশ দলে চার পেসার

চার পেসার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ দল। মাশরাফি, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আছেন তরুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার নেই। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের সঙ্গে স্পিনে আছেন, দুই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক ও মাহমুদউল্লাহ। টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে মেহেদী হাসান মিরাজকে।

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টির দল থেকে বাদ পড়েছেন ইমরুল কায়েস ও নুরুল হাসান। স্কোয়াডেই নেই রুবেল হোসেন। সেই ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন মুস্তাফিজ। চোটের জন্য খেলেননি মুশফিকুর রহিম। অভিষেক হল সাইফের।

বাংলাদেশ দল: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান।

টি-টোয়েন্টির শ্রীলঙ্কা দল:  কুশল পেরেরা, দিলশান মুনাবিরা, উপুল থারাঙ্গা (অধিনায়ক), চামারা কাপুগেদারা, আসেলা গুনারত্নে, মিলিন্দা সিরিবর্দনা, থিসারা পেরেরা, সিকুগে প্রসন্ন, নুয়ান কুলাসেকারা, লাসিথ মালিঙ্গা ও ভিকুম সঞ্জয়া।

টি-টোয়েন্টিতে মাশরাফির শেষ সিরিজ

টসের সময়ই এল চমকে দেওয়া ঘোষণাটা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানাচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিই হবে তার ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

২০০৬ সালে বাংলাদেশের অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন মাশরাফি। সেই থেকে এই ম্যাচ পর্যন্ত খেলেছেন বাংলাদেশের ৬৬ টি-টোয়েন্টির ৫৩টিতেই। নিয়েছেন দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ উইকেট।

টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানালেও ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।