অভিষেকেই বাজিমাত ১৮ বছর বয়সী লেগ স্পিনার শাদাবের। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারাল পাকিস্তান।
রোববার বারবাডোজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১১১ রান পাকিস্তান পেরিয়ে যায় ১৭ বল বাকি রেখে। চার ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল তারা প্রথমটি জিতে।
কিছু দিন আগে পাকিস্তান সুপার লিগে ব্যাটে-বলে নজর কেড়েছিলেন শাদাব। সেটির পুরস্কার পান জাতীয় দলে ডাক পেয়ে। তিনি প্রতিদান দিলেন মাচ সেরার পুরস্কার জিতে। ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট। কামরান আকমল একটি ক্যাচ না ছাড়লে হতে পারত ৪ উইকেট।
শাদাব বল হতে নেওয়ার আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারিয়েছিল ২ উইকেট। শাদাব আক্রমণে আসার পর চোখের পলকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হয়ে যায় ৬ উইকেটে ৪৯।
দলে ফেরা কাইরন পোলার্ড টিকে ছিলেন। কিন্তু ঝড় তুলতে পারেননি। ফেরেন ২৭ বলে ১৪ রান করে। দুটি করে চার ছক্কায় অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের ২৭ বলে অপরাজিত ৩৪ শেষ পর্যন্ত ক্যারিবিয়ানদের এনে দেয় ১১১ রান।
ছোট রান তাড়ায় দাপট দেখাতে পারেনি পাকিস্তানও। তিন বছর পর দলে ফিরে স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে কামরান আকমল করেছেন ১৭ বলে ২২। তিনে নেমে বাবর আজম ২৯ করেন ৩০ বলে।
পাঁচে নেমে ২৯ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের ইনিংসে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন শোয়েব মালিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১১১/৮ (লুইস ১০, ওয়ালটন ১৮, সামুয়েলস ৭, সিমন্স ১, পোলার্ড ১৪, নারাইন ১, পাওয়েল ৫, ব্র্যাথওয়েট ৩৪*, হোল্ডার ১৪; ইমাদ ১/১২, হাফিজ ০/৮, তানভির ১/২১, হাসান ১/২৫, শাদাব ৩/৭, ওয়াহাব ১/৩৫০।
পাকিস্তান: ১৭.১ ওভারে ১১৫/৪ (কামরান ২২, শেহজাদ ১৩, বাবর ২৯, হাফিজ ৫, মালিক ৩৮*, সরফরাজ ৪*; বদ্রি ১/২৪, হোল্ডার ২/২৭, নারাইন ০/২২, ব্র্র্যাথওয়েট ১/১৮, উইলিয়ামস ০/১৪, পোলার্ড /১)।
ফল: পাকিস্তান ৬ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৪ ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ১-০তে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: শাদাব খান