চতুর্থ ওয়ানডেতে স্টিভেন স্মিথের দলের জয় ৮৬ রানের। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা এগিয়ে ৩-১ ব্যবধানে।
রোববার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৩৫৩ রানের সংগ্রহ গড়ে অস্ট্রেলিয়া। চোট কাটিয়ে অধিনায়ক আজহার আলির ফেরার ম্যাচে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে পারেনি পাকিস্তান। অলআউট হয়ে যায় ৪৩ ওভার ৫ বলে ২৬৭ রান করে।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ফিরেন আজহার। তবে অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শারজিলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয় অতিথিরা। সপ্তদশ ওভারে ফেরার আগে ৪৭ বলে ১০টি চার আর ৩টি ছক্কায় ৭৪ রান করেন বিস্ফোরক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
শারজিলের বিদায়ের পর কমতে থাকে রানের গতি। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিক ৬৪ রানের জুটি গড়তে খেলেন ১৩.১ ওভার। মন্থর ব্যাটিং পুষিয়ে দিতে পারেননি তারা। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়ে উল্টো বিপদে ফেলে দলকে। সেখান থেকে আর বেরুতে পারেনি অতিথিরা।
উমর আকমল ও মোহাম্মদ রিজওয়ান বিদায় নেন দুই অঙ্কে গিয়েই। শেষের দিকে ইমাদ ওয়াসিম পরাজয়ের ব্যবধানই কমান কেবল।
৩টি করে উইকেট নেন পেসার জশ হেইজেলউড ও লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা।
এর আগে ৯২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন ওয়ার্নার ও উসমান খাওয়াজা। ভালো শুরুর সুবিধা কাজে লাগান স্মিথ, ট্র্যাভিস হেড ও ম্যাক্সওয়েল। শতক পাওয়া ওয়ার্নারের মতো এই তিন ব্যাটসম্যানও একবার করে জীবন পান। পাকিস্তানের বাজে ফিল্ডিংয়ে আসে অনেক বাড়তি রানও।
২০১০ সালের পর সিডনিতে স্বাগতিকদের প্রথম শতরানের উদ্বোধনী জুটি গড়ার আশা শেষ হয় খাওয়াজার বিদায়ে।
১৯তম শতক পাওয়া ওয়ার্নার ফিরেন ১৩০ রান করে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ১১৯ বলের ইনিংসটি গড়া ১১টি চার ও দুটি ছক্কায়। চলতি মৌসুমে ১৩ ইনিংসে এটি তার পঞ্চম শতক। তিন অঙ্কের এই ইনিংস দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান হিসেবে ম্যাথু হেইডেনের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ শতকের রেকর্ড স্পর্শ করেন ওয়ার্নার।
বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের সঙ্গে ১২০ রানের জুটি গড়া স্মিথ ফিরেন ৪৯ রান করে। ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে ১০০ রানের জুটিতে হেডের অবদান ৫১। তার ৩৬ বলের ইনিংসটি গড়া ৪টি ছক্কা ও দুটি চারে। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ম্যাক্সওয়েল খেলেন ৭৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ৪৪ বলে হাঁকান ১০টি চার আর একটি ছক্কা।
শেষ বলে উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট পান হাসান আলি। ২২ বছর বয়সী পেসারই পাকিস্তানের সেরা বোলার।
আগামী বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে হবে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৫৩/৬ (খাওয়াজা ৩০, ওয়ার্নার ১৩০, স্মিথ ৪৯, হেড ৫১, ম্যাক্সওয়েল ৭৮, ওয়েড ৫, স্টার্ক ০*; হাফিজ ০/৫৪, আমির ১/৭৫, জুনায়েদ ০/৮২, হাসান ৫/৫২, ওয়াসিম ০/৬৯, মালিক ০/১৩)
পাকিস্তান: ৪৩.৫ ওভারে ২৬৭ (আজহার ৭, শারজিল ৭৪, বাবর ৩১, হাফিজ ৪০, মালিক ৪৭, আকমল ১১, রিজওয়ান ১০, ওয়াসিম ২৫, আমির ৫, হাসান ৮*, জুনায়েদ ০; স্টার্ক ১/৪২, হেইজেলউড ৩/৫৪, কামিন্স ১/৪৫, হেড ২/৬৬, জ্যাম্পা ৩/৫৫)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৮৬ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার।