আঙুলের চোট নিয়ে দারুণ লড়াই করলেও ম্যাচ শেষ দিনে নিতে পারেননি তরুণ ইংলিশ ব্যাটসম্যান হাসিব হামিদ।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। আগামী ৮ ডিসেম্বর শুরু হবে চতুর্থ টেস্ট।
১০৩ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই মুরালি বিজয়কে হারায় ভারত। রানের খাতা খোলার আগেই ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকসের বলে ক্যাচ দেন বিজয়।
দ্বিতীয় উইকেটে চেতেশ্বর পুজারার সঙ্গে পার্থিব প্যাটেলের ৮১ রানের জুটি ভারতকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে যান। চারটি চার ২৫ রান করে ফিরে যান পুজারা।
এর আগে মঙ্গলবার পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আইএস বিন্দ্রা স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটে ৭৮ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড।
কোনো রান যোগ করার আগেই ফিরে যান নাইটওয়াচম্যান গ্যারেথ ব্যাটি। বেন ডাকেটের বদলে দলে ফেরা জস বাটলারও পারেননি নিজের ইনিংস বড় করতে। আঙুলের চোটে ইনিংস উদ্বোধন করতে না পারা তরুণ হামিদ ব্যাটিংয়ে নামেন আট নম্বরে।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক জানিয়েছেন, ভারত সফর শেষ হয়ে গেছে হামিদের। চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে অস্ত্রোপচার করাতে হবে এই তরুণকে। ব্যাটিংয়ের সময়ও পেইনকিলার লেগেছে তার।
ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা জো রুট হামিদের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটিতে ভারতের আবার ব্যাটিংয়ে নামা নিশ্চিত করেন। ছয়টি চারে ৭৮ রান করে রুটের বিদায়ের পর হামিদের সঙ্গে জুটি বাধেন ওকস। দুই জনে গড়েন ৪৩ রানের জুটি।
শুরুতে শামির ওপর চড়াও হন হামিদ। পরে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবিন্দ্র জাদেজাদেরও ছাড়েননি তিনি। স্লগ সুইপে ছক্কায় ১৪৭ বলে পৌঁছান অর্ধশতকে। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে অ্যান্ডারসন রান আউট হওয়ার সময় হামিদ অপরাজিত ছিলেন ৫৯ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ২৩৬ রানে গুটিয়ে দিতে ৮১ রানে ৩ উইকেট নেন অফ স্পিনার অশ্বিন। দুটি করে উইকেট নেন জয়ন্ত যাদব, শামি ও ম্যাচ সেরা জাদেজা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৮৩
ভারত ১ম ইনিংস: ৪১৭
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৯০.২ ওভারে ২৩৬ (কুক ১২, রুট ৭৮, মইন ৫, বেয়ারস্টো ১৫, স্টোকস ৫, ব্যাটি ০, বাটলার ১৮, হামিদ ৫৯*, ওকস ৩০, রশিদ ০, অ্যান্ডারসন ৫; শামি ২/৩৭, উমেশ ০/২৬, অশ্বিন ৩/৮১, জাদেজা ২/৬২, জয়ন্ত ২/২১)
ভারত ২য় ইনিংস: ২০.২ ওভারে ১০৪/২ (বিজয় ০, প্যাটেল ৬৭*, পুজারা ২৫, কোহলি ৬*; অ্যান্ডারসন ০/৮, ওকস ১/১৬, রশিদ ১/২৮, স্টোকস ০/১৬, মইন ০/১৩, ব্যাটি ০/১৮)
ফল: ভারত ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা: রবিন্দ্র জাদেজা
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।