৫টি চারের সঙ্গে সমান ৫টি ছক্কা। ৪৫ বলে অপরাজিত ৭৫। মারুফের ঝড়েই বরিশাল বুলসের ১৪৮ রান অনায়াসে টপকে গেছে ঢাকা।
ব্যাট হাতে যতোটা বিধ্বংসী ছিলেন মারুফ, মাইক্রোফোনের সামনে ততটাই মৃদুভাষী। সংবাদ সম্মেলনে ছক্কাগুলি নিয়ে যেমন নরম কণ্ঠে বললেন, “আমি ছক্কা মারতে বেশি পছন্দ করি। টি-টোয়েন্টিতে এটির সুযোগ থাকে বেশি। দুটি মিলিয়িই আজকে হয়ে গেল।”
“টি-টোয়েন্টি মানেই পজিটিভ থাকা, নিজের শটস খেলা। আজকে আমার দিন ছিল, ব্যাট হেসেছে।”
ছক্কাগুলিও যেমন তেমন নয়। সবগুলিই ছিল বিশাল। মারুফের মতে, সবাই নিখুঁত টাইমিংয়ের ফসল।
“বড় বড় ছয় মারার জন্য টাইমিংটার দরকার পড়ে। আজকে টাইমিং ভালো হয়েছে।”
আল আমিনের বলে গ্যালারিতে আছড়ে ফেলা দ্বিতীয় ছক্কাটিকে মারুফ বলছেন তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ছয়। তবে ইনিংসে নিজের মতে সেরা শট কিন্তু ছক্কাগুলির একটিও নয়!
“মেহেদী হাসানের বলে ব্যাকফুট কাভার ড্রাইভে চার মেরেছিলাম। সেটা আমার কাছে সেরা শট। ব্যাকফুটে সিম্পল পাঞ্চ ছিল।”
গত বিপিএলে বরিশাল বুলসের হয়ে ১০ ম্যাচ খেলেছিলেন। কিন্তু সুবিধে করতে পারেননি। ১৫.৭৫ গড়ে রান করেছিলেন ১২৬। সর্বোচ্চ ছিল ৩৭। সব মিলিয়ে আগের ১৫ টি-টোয়েন্টিতে গড় ছিল ১৪.০৭।
এবার নিজের আগের দল সেই বরিশালের বিপক্ষেই ঝড় তুলে শুরু। ঢাকা চাইবে, মারুফকে এই রূপেই বারবার দেখতে!