বৃহষ্পতিবার প্রকাশিত আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে ওয়ানডে বোলারদের তালিকায় এখন নয় নম্বরে বাংলাদেশ অধিনায়ক। আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড সিরিজে ৬ ম্যাচে ১২ উইকেট পাওয়ার পুরস্কার।
সেরা র্যাঙ্কিংয়ের কথা শুনে স্মৃতি হাতড়ালেন মাশরাফি, “এর আগেও একবার সেরা দশে উঠেছিলাম। সম্ভবত ২০০৮ বা ২০০৯ সালের সময়টায়, যখন সম্ভবত ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করছিলাম।”
স্মৃতি তাকে প্রতারিত করেনি। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ে সিরিজটা যখন শেষ করেছিলেন, মাশরাফির র্যাঙ্কিং ছিল ১২। এরপর চোটের কারণে টানা বছরখানেক বাইরে। কিন্তু অন্যদের ওঠা-নামার পালায় ২০০৯ সালের ২৭ মার্চ উঠেছিলেন ঠিক ৯ নম্বরেই।
তবে সেবার আর এবারের পার্থক্য স্পষ্ট। তখন ছিলেন ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে। ছিলেন দারুণ আত্মবিশ্বাসী আর ক্যারিয়ারের সেরা ছন্দে। এখনকার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বয়স ৩৩ ছাড়িয়েছে, আগামী মাসেই ক্যারিয়ারের বয়স পূর্ণ হবে ১৫। নিজের শরীরের সঙ্গে লড়াই বেড়েছে, চেপেছে নেতৃত্বের দায়িত্বভার।
সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে র্যাঙ্কিংয়ে নিজের সেরায় ওঠাকে আলাদা করেই দেখছেন মাশরাফি। তবে সেটি তার মনে দোলা দিচ্ছে সামান্যই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষ দল সিরিজ হারায় ভারাক্রান্ত মন। সেই বিষাদের ছোঁয়াই বেশ থাকল কণ্ঠে।
ক্যারিয়ার জুড়ে অসংখ্য চোট-আঘাতের থাবা সামলে এগিয়েছেন, পেরিয়েছেন অনেক চড়াই-উৎরাই। ক্যারিয়ারটা লম্বা করতে, প্রিয় খেলাটায় মাথা উঁচু করে মাঠে থাকতে গত বছর দুয়েক প্রচণ্ড খেটেছেন ফিটনেস নিয়ে। র্যাঙ্কিংটাকে মাশরাফি দেখছেন সেটিরই একটি স্বীকৃতি হিসেবে।
“চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিদিনই উন্নতি করতে, এই সময়ের ক্রিকেটের নানা দাবি মিটিয়ে তাল মিলিয়ে চলতে। ভালো লাগছে কিছুটা হলেও দলকে সাহায্য করতে পারছি। র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতিটা আমাকে আরও ভালো করতে উদ্বুদ্ধ করবে।”
তবে যথারীতি নিজের চেয়ে দল নিয়ে কথা বলতেই তার বেশি আগ্রহ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগের রাতের হারের আক্ষেপ আবার উঠে এলো কণ্ঠে।
“জয়-হার তো থাকেই। নিজেরা খারাপ খেলে বা প্রতিপক্ষ বেশি ভালো খেলে হারলে মানা যায়। কিন্তু কন্ডিশনের কারণে না পারলে খুব খারাপ লাগে। অসহায় লাগে খুব।”