১৭৮ রানের জয়ের ভারত জিতে নিয়েছে সিরিজও, যার পুরস্কার আরও বড়। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে টপকে ভারত উঠে গেছে আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। সিরিজ শুরুর আগে পাকিস্তানের চেয়ে ১ পয়েন্ট পিছিয়ে ছিল ভারত।
ব্যাটিং দুরূহ উইকেটে ৩৭৬ রানের লক্ষ্য নিউ জিল্যান্ডের জন্য ছিল এক রকম অসম্ভবের কাছাকাছি। দেখার ছিল কেবল তারা ম্যাচ নিতে পারে কিনা পঞ্চম দিনে। চার ভারতীয় বোলারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সোমবার চার দিনেই শেষ কিউইরা।
টম ল্যাথাম ও মার্টিন গাপটিল উদ্বোধনী জুটিতে তুলেছিলেন ৫৫ রান। গাপটিলকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন অশ্বিন। শেষ পর্যন্ত সেটিই থেকে গেছে ইনিংসের একমাত্র অর্ধশত রানের জুটি।
দ্বিতীয় উইকেটে ল্যাথাম ও হেনরি নিকোলসের জুটি ৪৯ রানের। এরপর আর জমে ওঠেনি কোনো জুটি। মিডল অর্ডারে খানিকটা লড়েছেন কেবল লুক রনকি। শেষ ৮ উইকেট পড়েছে ৮২ রানের মধ্যে।
দুই ভারতীয় স্পিনার অশ্বিন ও জাদেজার সঙ্গে সমান তালে বোলিং করেন পেসার মোহাম্মদ শামি। তিন জনেরই উইকেট তিনটি করে। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া ভুবনেশ্বর এবার নেন ১টি উইকেট।
সকালে ভারতের হয়ে আবারও শেষ দিকে মহামূল্য এক ইনিংস খেলেন ঋদ্ধিমান সাহা। প্রথম ইনিংসের মতো এই উইকেটকিপারের ব্যাটেই আবার তিনশ পার হয় দলের ইনিংস। ঘরের মাঠে প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ৫৪ রানের পর এবার ঋদ্ধিমান অপরাজিত ৫৮ রানে।
নিউ জিল্যান্ডের লক্ষ্য তাতে চলে যায় নাগালের বাইরে। বোলাররা পরে নিশ্চিত করেছেন বড় জয়। শনিবার থেকে শুরু সিরিজের শেষ টেস্ট।
আসছে টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ তে হারাতে পারলে অবশ্য আবার এক নম্বরে উঠে যাবে পাকিস্তান। তবে সামনে ব্যস্ত ঘরোয়া মৌসুমে ভারতেরও সুযোগ থাকবে জায়গা সংহত করার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৩১৬
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২০৪
ভারত ২য় ইনিংস: ৭৬.৫ ওভারে ২৬৩ (আগের দিন ২২৭/৮) (ঋদ্ধিমান ৫৮*, ভুবনেশ্বর ২৩, শামি ১; বোল্ট ৩/৩৮, হেনরি ৩/৫৯, ওয়াগনার ১/৪৫, প্যাটেল ০/৫০, স্যান্টনার ৩/৬০)।
নিউ জিল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৭৬) ৮১.১ ওভারে ১৯৭ (ল্যাথাম ৭৪, গাপটিল ২৪, নিকোলস ২৪, টেলর ৪, রনকি ৩২, স্যান্টনার ৯, ওয়াটলিং ১, হেনরি ১৮, প্যাটেল ২, ওয়াগনার ৫*, বোল্ট ৪; ভুবনেশ্বর ১/২৮, শামি ৩/৪৬, অশ্বিন ৩/৮২, জাদেজা ৩/৪১)।
ফল: ভারত ১৭৮ রানে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-০ তে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ঋদ্ধিমান সাহা।