সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে কার্ডিফে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। ৩০৩ রান তাড়ায় পাকিস্তানকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়েছে শোয়েব মালিক ও সরফরাজ আহমেদের দারুণ এক জুটি। শেষ দিকে থানিকটা হোঁচট খেলেও ইমাদ ওয়াসিমকে নিয়ে কাজ শেষ করেছেন রিজওয়ান আহমেদ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডকে বড় স্কোরের ভিত্তি এনে দেন জেসন রয়। একপাশে হেলস-রুট-মর্গ্যানরা টিকতে পারেন। কিন্তু আরেকপাশে সহজাত ব্যাটিংয়ে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন রয়। শেষ পর্যন্ত ৮৯ বলে ৮৭ করে আউট হন তিনি দ্বিতীয় স্পেলে ফেরা মোহাম্মদ আমিরের স্লোয়ার বাউন্সারে।
ততক্ষণে উইকেটে জমে গেছেন বেন স্টোকস। তাকে খানিকটা সঙ্গ দেন জনি বেয়ারস্টো। একসময় সাড়ে তিনশর কাছাকাছি স্কোরকেও অসম্ভব মনে হচ্ছিলো না। তবে শেষ দিকে হাসান আলি ও আমিরের দারুণ বোলিংয়ে রানটা নাগালের ভেতরে রাখে পাকিস্তান।
পঞ্চম ওয়ানডে খেলতে নামা তরুণ পেসার হাসান নিয়েছেন চার উইকেট, তিনটিই ইনিংসের শেষ দিকে।
রান তাড়ায় শারজিল খানকে শুরুতেই হারায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক আজহার আলি ও বাবর আজম যোগ করেন ৫৪ রান। দুজনকে এক ওভারেই ফিরিয়ে পাকিস্তানকে জোর ধাক্কা দেন মার্ক উড।
সেখান থেকেই দলকে টেনেছেন অভিজ্ঞ মালিক ও ফর্মে থাকা সরফরাজ। তৃতীয় উইকেটে দুজনে ১৬৩ রানের জুটি গড়েছেন মাত্র ১৪৩ বলে। দুজনের ব্যাটেই ছিল সত্যিকার ওয়ানডে ব্যাটিংয়ের প্রতিচ্ছবি। এক-দুই রানে সচল রেখেছেন রানের চাকা। নিয়মিত চার-ছক্কায় পেয়ে বসতে দেননি রান রেটের চাপ।
সেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় থাকা সরফরাজের আউটে ভাঙে দারুণ এই জুটি। বাঁহাতি স্পিনার ডসনকে প্রথম ওয়ানডে উইকেট উপহার দিয়ে ফেরেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরির পর এবার করেছেন ৭৩ বলে ৯০!
নিজের পরের ওভারেই আরেকটি উপহার পান ডসন, তুলে মারতে গিয়ে আউট হন মালিক (৭৭)। খানিক পর কিপিং থেকে ছুটে যাওয়া বেয়ারস্টোর অসাধারণ থ্রোয়ে রান আউট মোহাম্মদ নওয়াজ। হঠাৎই চাপে পাকিস্তান।
বুধবার দুদলের একমাত্র টি-টোয়েন্টি দিয়ে শেষ হবে এবারের ইংলিশ গ্রীষ্ম। এরপর ইংলিশদের প্রস্তুতি শুরু বাংলাদেশ সফরের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩০২/৯ (রয় ৮৭, হেলস ২৩, রুট ৯, মর্গ্যান ১০, স্টোকস ৭৫, বেয়ারস্টো ৩৩, ডসন ১০, ওকস ১০, উইলি ৬, জর্ডান ১৫*, উড ৮*; আমির ৩/৫০, গুল ১/৭৭, হাসান ৪/৬০, মালিক ০/৪০, ইমাদ ১/৩৩, নওয়াজ ০/৩২)
পাকিস্তান: ৪৮.২ ওভারে ৩০৪/৬ (আজহার ৩৩, শার্জিল ১০, বাবর ৩১, মালিক ৭৭, সরফরাজ ৯০, রিজওয়ান ৩৪*, নওয়াজ ২, ইমাদ ১৬*; ওকস ১/৪৭, উইলি ০/৩২, উড ২/৫৬, স্টোকস ০/৪৭, জর্ডান ০/৫২, ডসন ২/৭০)।
ফল: পাকিস্তান ৪ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ৪-১ ব্যবধানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: সরফরাজ আহমেদ
ম্যান অব দা সিরিজ: জো রুট