স্টেইন ও সতীর্থ পেসারদের দুর্দান্ত সুইং বোলিংয়ে পাত্তাই পেল না নিউ জিল্যান্ড। ব্যাটিং কঠিন করে তুলেছিল উইকেটের অসমান বাউন্সও। চতুর্থ দিনেই সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট ২০৪ রানে জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম টেস্ট ড্র হওয়ার পর এই জয়ে সিরিজও জিতল প্রোটিয়ারা।
সিরিজ জয়ের আরেকটি পুরস্কারও পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বর থেকে উঠে এসেছে পাঁচে।
আগের দিন ৩৭২ রানে এগিয়ে থাকা প্রোটিয়ারা চতুর্থ দিন সকালে ইনিংস ঘোষণা করে ৪০০ রানের লক্ষ্য দিয়ে। এমনিতেই ভীষণ দুরূহ লক্ষ্য, শুরুতেই সেটি অসম্ভব করে দিলেন স্টেইন।
প্রথম বলে শিকার ল্যাথাম। প্রথম ওভারের শেষ বলে দুর্দান্ত আউট সুইংয়ে আউট মার্টিন গাপটিল। দুই ওপেনারই গোল্ডেন ডাক!
সেই ধাক্কার রেশ থাকতেই স্টেইনের আবার আঘাত। এবার নীচু হওয়া বলে এলবিডব্লিউ রস টেলর। আরেক পাশে ভার্নন ফিল্যান্ডারও যোগ দিলেন উইকেট শিকার উৎসবে। ফিরিয়ে দিলেন কিউইদের সবচেয়ে বড় ভরসা কেন উইলিয়ামসনকে। চতুর্থ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের রান তখন ৪ উইকেটে ৭! টেস্ট ইতিহাসেই এত কম রানে কখনো প্রথম ৪ উইকেট হারায়নি কিউইরা। স্টেইনের প্রথম স্পেল ছিল ৯-৪-১২-৩!
ম্যাচের ভাগ্য ততক্ষণে মোটামুটি লেখা হয়ে গেছে। মিডল অর্ডারে হেনরি নিকোলস লড়াই করে বিব্রতকর অবস্থা থেকে খানিকটা উদ্ধার করেন দলকে। আগের ৫ টেস্টে মাত্র একটি অর্ধশতক ছিল বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের, গড় ছিল ১৮.১৬। এবার ৭৬ রানের লড়িয়ে ইনিংসটা হয়ত আপাতত বাঁচাবে তার ক্যারিয়ার।
দুই ইনিংসে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ৮২ ও ৫০ রানের পাশাপাশি ম্যাচে ৬ ডিসমিসালে ম্যাচের সেরা কুইন্টন ডি কক। তবে প্রোটিয়াদের বড় প্রাপ্তি নি:সন্দেহে চোট ঝামেলা পেছনে ফেলে আবার বিধ্বংসী স্টেইনকে ফিরে পাওয়া!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৪৮১/৮ (ইনিংস ঘোষণা)
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২১৪
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ১৩২/৭ (ইনিংস ঘোষণা)
নিউ জিল্যান্ড: (লক্ষ্য ৪০০) ৫৮.২ ওভারে ১৯৫ (ল্যাথাম ০, গাপটিল ০, উইলিয়ামসন ৫, টেলর ০, নিকোলস ৭৬, ওয়াটলিং ৩২, স্যান্টনার ১৬, ব্রেসওয়েল ৩০, সাউদি ১৪, ওয়াগনার ৯, বোল্ট ০*; স্টেইন ৫/৩৩, ফিল্যান্ডার ২/৩৪, রাবাদা ২/৫৪, ফন জিল ০/৫, পিট ১/৫২)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ২০৪ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ১-০ তে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: কুইন্টন ডি কক