দুই তরুণের পেসে বিধ্বস্ত মোহামেডান

শীর্ষস্থান সুসংহত করার সুযোগ হারিয়েছে মোহামেডান। দুই তরুণ মেহরাব হোসেন ও সালমান হোসেনের পেসে বিধ্বস্ত হয়ে ক্রিকেট কোচিং স্কুলের (সিসিএস) কাছে হেরেছে মুশফিকুর রহিমের দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2016, 07:29 AM
Updated : 29 May 2016, 03:42 PM

টুর্নামেন্টের শেষের দিকে এসে জ্বলে উঠেছে তারুণ্য নির্ভর সিসিএস। প্রথম জয়ের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয় সপ্তম রাউন্ড পর্যন্ত। শক্তিশালী ভিক্টোরিয়াকে হারিয়ে চমকে দেয় রাজিন সালেহর নেতৃত্বাধীন দলটি।

লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে পরের ম্যাচে জয় না পেলেও লড়াই করে সিসিএস। এবার আবার শীর্ষে থাকা মোহামেডানকে হারিয়ে অঘটন ঘটালো প্রথম বিভাগ থেকে উঠে আসা দলটি।

রিজার্ভ ডেতে মেহরাবের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ও সালমানের যোগ্য সহায়তায় ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৩১ রানে জিতেছে সিসিএস।

আগের দিন আবাহনীর কাছে প্রাইম দোলেশ্বেরের হারে ২ পয়েন্ট এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ আসে মোহামেডানের সামনে। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষকে মাঝারি রানে বেধে রেখে দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছিলেন বোলাররা। তবে আগের দিনের এগিয়ে রাখা কাজকে জয়ে পরিণত করতে পারেননি মোহামেডানের ব্যাটসম্যানরা।

শনিবার বৃষ্টির দাপটে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ২৫ ওভারে। এক বল বাকি থাকতে ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে যায় সিসিএস। জবাবে মোহামেডান ২ ওভার ২ বলে ১৩ রান করার পর আবার বৃষ্টি নামলে ম্যাচ গড়ায় রিজার্ভ ডেতে।

রোববার শুরুতেই নাঈম ইসলামকে ফিরিয়ে দেন সালমান। এরপর একে একে মুশফিক, এজাজ আহমেদ, মিঠুন মানহাস, আরিফুল হককে বিদায় করেন মেহরাব। অভিজ্ঞ ফয়সাল হোসেনের উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার সালেহ আহমেদ শাওন।

১ উইকেটে ৩৩ থেকে মোহামেডানের স্কোর পরিণত হয় ৫৩/৬।

মোহামেডানের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্কে পৌঁছান কেবল ইজাজ। সপ্তম উইকেটে নাজমুল হোসেন মিলনের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন হাবিবুর রহমান। একটি করে চার-ছক্কায় ২০ রান করে ফিরে যান তিনিও।

হাবিবুর ফিরে যাওয়ার সময় ৫১ বলে ৬৯ রান প্রয়োজন ছিল মোহামেডানের। নাজমুল উইকেটে ছিলেন বলে আশা বেঁচে ছিল দলটির। শুরুও করেছিলেন শেষের দিকে ঝড় তোলার জন্য পরিচিত এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু এবার শেষ করতে পারেননি, সালমানের বলে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ৩২ রানের ইনিংসটি। তার বিদায়ের পর বেশি দূর এগোয়নি মোহামেডানের ইনিংস।

১৪ রানে চার উইকেট নিয়ে সিসিএসের সেরা বোলার মেহরাব। সালমান ৩ উইকেট নেন ২৭ রানে। অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্য তিনি জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এর আগে ৫২ বলে ৫৮ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন তিনি।

৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই মোহামেডান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দোলেশ্বরের পয়েন্টও ১২।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

সিসিএস: ২৪.৫ ওভারে ১৪৯ (পিনাক ১, রাজিন ১০, সাইফ ১৩, সালমান ৫৮, অমিদ ২৪, মেহরাব ০, সাঈদ ০, উত্তম ২৩*, নাসুম ৯, নবি ০, শাওন ১*; শুভাশিস ১/২২, হাবিবুর ২/২৩, নাঈম জুনিয়র ১/২৮, এনামুল জুনিয়র ১/৩২, নাঈম ০/১৩, আরিফুল ৩/২৯)।

মোহামেডান: ২১ ওভারে ১১৭ (এজাজ ৩৫, নাঈম ৫, মুশফিক ৪, মানহাস ২, আরিফুল ০, ফয়সাল ৬, নাজমুল ৩২, হাবিবুর ২০, নাঈম ৮, এনামুল ৪, শুভাশীষ ০*; মেহরাব ৪/১৪, সালমান ৩/২৭, শাওন ১/২৬, সাইফ ১/২৮)

ফল: ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে সিসিএস ৩১ রানে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সালমান হোসেন।