রোববারই চট্টগ্রামে উড়াল দেওয়ার কথা ক্রিকেটারদের। চট্টগ্রাম যাওয়ার আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মাশরাফি বলেন, “ক্যাম্পের মূল লক্ষ্য তো অবশ্যই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। তবে এই মুহূর্তে এশিয়া কাপ নিয়েই আগে ভাবতে হবে আমাদের। এশিয়া কাপের জন্যই প্রস্তুত হব আমরা আর সেটা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেও কাজে দেবে অবশ্যই।”
মূলত কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের চাওয়াতেই হচ্ছে এই অনুশীলন ক্যাম্প। প্রথম পর্ব ছিল খুলনায়। ২২ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষে এক দিন বিশ্রাম দিয়ে ২৪ থেকে ৩১ জানুয়ারি খুলনায় নিবিড় অনুশীলন করেছে দল। নিজেদের মধ্যে খেলেছে কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ। ৬ দিন ছুটির পর সোমবার থেকে আবার ৮ দিনের ক্যাম্প।
খুলনার ক্যাম্পে কোন দিকগুলো নিয়ে কাজ করেছে দল, সেসব খোলাসা করতে চাইলেন না অধিনায়ক। তবে জানালেন, প্রস্তুতি হয়েছে দারুণ।
“টেকনিক্যাল অনেক কিছু নিয়ে কাজ করেছি আমরা। সে সব বিস্তারিত বলতে চাই না। তবে এটুকু বলছি, খুব কাজে দিয়েছে ক্যাম্প। অনুশীলন ম্যাচগুলিও খুব ভালো হয়েছে। যা শিখেছি বা আলোচনা হয়ছে, ম্যাচে সেসব করার চেষ্টা করেছি আমরা।”
যদিও হুট করে মিঠুনের এই দলে আসা নিয়ে এবং ইমরুল কায়েসের বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন আছে টুকটাক। প্রশ্নগুলিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না মাশরাফি; তবে জানালেন, দল নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট।
“দেখুন, যে কোনো দল নির্বাচন নিয়েই কিছু না কিছু প্রশ্ন থাকবেই। জায়গা মাত্র ১৫টি, আমাদের কোয়ালিটি ক্রিকেটার অনেক। কাজেই প্রশ্ন কিছু সবসময়ই থাকবে। আমি যেটা বলতে পারি, এই মুহূর্তে সম্ভব সেরা দল নিয়েই আমরা বিশ্বকাপে যাচ্ছি।”
চট্টগ্রামে ক্যাম্পে দল পাচ্ছে না গুরুত্বপূর্ণ তিন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালকে। তিনজনই সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলছেন পাকিস্তান সুপার লিগে। মাশরাফির মতে, তিনজনের প্রস্তুতি সেখানে ভালোই হচ্ছে।
“তামিম তো দুই ম্যাচেই দারুণ ব্যাটিং করল। সাকিবও ম্যান অব দা ম্যাচ হয়েছে। উইকেট দেখলাম বেশ স্লো, পরিস্থিতি বুঝে দুর্দান্ত খেলছে ওরা। আশা করি, মুশফিকও সামনে খেলার সুযোগ পাবে। সব মিলিয়ে ওদের প্রস্তুতি খুব ভালো হচ্ছে।”
বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্যই পরিবর্তন করা হয়েছে এশিয়া কাপের ফরম্যাট। তবে বাংলাদেশের বাস্তবতাটাও ভালোই বোঝেন মাশরাফি। জানালেন, দেশের মাটিতে এশিয়া কাপ স্রেফ প্রস্তুতির চেয়েও একটু বেশি কিছু।
“এশিয়া কাপও বড় একটি টুর্নামেন্ট। দেশের মাটিতে হচ্ছে, আমরা অবশ্যই চাইব ভালো করতে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য আমি কখনোই বলতে চাই না। প্রতিটি ম্যাচ ধরে খেলব। আশা করি ভালো করব। আর এশিয়া কাপ শেষে চাইব, আমাদের টি-টোয়েন্টি দলটা যেন দাঁড়িয়ে যায়, সঠিক কম্বিনেশন যেন আমরা পেয়ে যাই; যে দল নিয়ে বিশ্বকাপে গিয়েও আমরা ভালো কিছু করতে পারব।”