দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়াই এগিয়ে আছে। তবে ম্যাচের গতি যেভাবে দ্রুত বাঁক নিচ্ছে তাতে নিউ জিল্যান্ডকেও উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। ৫ উইকেট হাতে রেখে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দল ৯৪ রানে এগিয়ে আছে।
প্রথম দিনে উইকেট পড়েছে ১২টি, দ্বিতীয় দিন ১৩টি। এখন পর্যন্ত মাত্র তিন জন খেলোয়াড়ই অর্ধশতক করতে পেরেছেন, শতক পাননি কেউই।
শনিবার অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন অবশ্য আলোচনার কেন্দ্রে ছিল নিউ জিল্যান্ডের নেওয়া একটি রিভিউতে নট-আউটের সিদ্ধান্ত। শেষ পর্যন্ত এটিই ম্যাচের ফল-নির্ধারক বলে বিবেচিত হতে পারে।
প্রথম ইনিংসে নিউ জিল্যান্ডের করা ২০২ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর যখন ৮ উইকেটে ১১৮ রান, ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামা নাথান লায়ন মিচেল স্যান্টনারের বলে সুইপ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন। ক্যাচটি স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারের হাতে যাওয়ার আগে বল লায়নের কাঁধ ছুঁয়ে যায়।
হট স্পটে বল লায়নের ব্যাটের কানায় লাগার প্রমাণ মেলে। বলের গতিপথ পাল্টেছে বলেও মনে হয়। কিন্তু রিয়াল টাইম স্নিকোতে কিছুই ধরা পড়েনি বলে পাঁচ মিনিট ধরে রিপ্লে দেখার পর তৃতীয় আম্পায়ার নাইজেল লং রবির সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
রিভিউ থেকে বেঁচে যাওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে সুইপ খেলতে থাকেন লায়ন। আর টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ছক্কাসহ এই শট থেকে প্রচুর রানও পান তিনি। ট্রেন্ট বোল্টের বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ৩৪ রান করেন লায়ন। ৪৯ বলের ইনিংসটি ৩টি চার ও একটি ছয়ে সাজান তিনি।
অন্য প্রান্তে নেভিল নিখুঁত একটি ইনিংস খেলেন। আউট হওয়ার আগে ৮টি চারে ১১০ বলে ৬৬ রান করেন তিনি। এখন পর্যন্ত ম্যাচের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস এটি।
১৫ বলে ৩টি চার ২টি ছয়ে অপরাজিত ২৪ রান করে মিচেল স্ট্যার্কও ভালোই ভুগিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডকে।
২ উইকেটে ৫৪ রান নিয়ে খেলা শুরু করা অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে ২২৪ রান করে।
১৮ বলে ৩ উইকেট নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের সফলতম বোলার ডগ ব্রেসওয়েল। দুটি করে উইকেট পান বোল্ট ও মার্ক ক্রেইগ।
তবে গোলাপি বলে ফ্লাড লাইটের আলোর নিচে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। দিন শেষে ৫ উইকেটে ১১৬ রান তাদের। শেষ ৩০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান তুলতে পারে সফরকারীরা।
১৩ রান নিয়ে উইকেটে আছেন স্যান্টনার। তার সঙ্গী বিজে ওয়াটলিংয়ের রান ৭।
অস্ট্রেলিয়ার পেসার জশ হেইজেলউড ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। ৪৪ রান দিয়ে ২ উইকেট পান মিচেল মার্শ।