প্রথম ইনিংসে ৯ রানে পিছিয়ে থাকা খুলনা আগের দিনই ২১ রানে এগিয়ে গিয়েছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে। কিন্তু সোমবার সাবেক চ্যাম্পিয়নদের ব্যাটিং লাইন আপ গুড়িয়ে দেন রংপুরের সঞ্জিত সাহা। ৬৪ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অফ স্পিনার।
দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনা গুটিয়ে যায় ২০৮ রানেই। জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে রংপুর প্রয়োজন ছিল ২০০ রান। কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় মাঝারি এই লক্ষ্যও এখন কঠিন চ্যাম্পিয়নদের জন্য। তৃতীয় তিন শেষ করেছে তারা ৬ উইকেটে ৫৮ রান নিয়ে!
যথারীতি খুলনার দুই স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ও মেহেদি হাসান মিরাজকে সামলাতে হিমশিম খেয়েছে রংপুরের ব্যাটসম্যানরা। নতুন বল হাতে নেওয়া রাজ্জাক নিয়েছেন ৪ উইকেট, প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া মেহেদি এবার নিয়েছেন দুটি।
এর আগে ব্যাট হাতেও রান পেয়েছেন মিরাজ। যদিও প্রথম ইনিংসের মতো অর্ধশত করতে পারেননি। পঞ্চাশ ছুঁতে পারেননি খুলনার কোনো ব্যাটসম্যানই।
আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসকে (১৩) আর কোনো রান করার আগেই ফেরান সাজেদুল। আরেক ওপেনার মেহেদি হাসানকে (৪১) ফেরান লেগ স্পিনার তানভীর।
১৫১ রানে ৭ উইকেট হারানো খুলনাকে খানিকটা টেনে নেন মেহেদি হাসান মিরাজ (৩৩)। দশে নেমে দুই ছক্কায় রবিউল ইসলামের ২১ রানে দুইশ’ ছাড়ায় খুলনা। সঞ্জিত থামেন ৭ উইকেট নিয়ে।
১৭ বছর বয়সী সঞ্জিতের এই পারফরম্যান্স এখনও পর্যন্ত এবারের জাতীয় লিগে সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ১১৭ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ঢাকা বিভাগের বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন।
তরুণ সঞ্জিতের অসাধারণ বোলিং দিনশেষে অনেকটাই আড়ালে পড়ে গেছে সতীর্থ ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। ৩৬ রান তুলতেই হারায় তারা ৫ উইকেট।
শেষ বিকেলে রাজ্জাককে দুটি ছক্কায় পাল্টা আক্রমণের ইঙ্গিত দেন নাসির। কিন্তু এটার খেসারত দিতে হয়েছে রাজ্জাকের বলে আউট হয়ে। অধিনায়কের আউটেই রংপুরকে স্বস্তি দিয়ে শেষ হয়েছে দিনের খেলা।
৪ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ দিনে রংপুরের চাই ১৪২ রান। তাকিয়ে তারা অভিজ্ঞ নাঈম ইসলাম ও ধীমান ঘোষের ব্যাটে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা ১ম ইনিংস: ২১১
রংপুর ১ম ইনিংস: ২২০
খুলনা ২য় ইনিংস: ৭৪.৫ ওভারে ২০৮ (ইমরুল ১৩, মেহেদি ৪১, এনামুল ৩১, তুষার ২৯, নুরুল ১২, জিয়াউর ১৬, মিরাজ ৩৩, রাজ্জাক ০, হালিম ২, রবিউল ২১, মুরাদ ৫*; নাসির ৪-০-১০-০, শুভ ২৪-৬-৫৯-১, সঞ্জিত ২৬.৫-৫-৬৪-৭, তানভীর ১৪-১-৪৯-১, সাজেদুল ৬-১-২১-১)।
রংপুর ২য় ইনিংস: ৩৭.৫ ওভারে ৫৮/৬(সায়মন ৯, তারিক ৯, শুভ ৪, তানভীর ৪, নাসির ১৭, সাজেদুল ০, নাঈম ১৫*; রবিউল ২-১-১-০, রাজ্জাক ১৮.৫-৪-৪৪-৪, মিরাজ ১৭-৯-১৩-২)।