করাচির সাউথএন্ড ক্লাব ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এক বল বাকি থাকতে ২১৪ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে ৯ উইকেটে ১৯৪ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শামীমা সুলতানার ২৪, ফারজানা হকের ২৬ রানের সৌজন্যে ভালো ভিত পায় বাংলাদেশ। এক সময়ে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১০৪ রান। কিন্তু এরপরই সালমা খাতুন, রিতু মণি ও ফাহিমা খাতুন দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে অতিথিরা।
এরপরও চেষ্টা করেছিলেন রুমানা-জাহানারা আলম (২৩)। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা যথেষ্ট ছিল না। দলীয় ১৯০ রানে ফিরে যাওয়ার আগে ৭০ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন রুমানা।
পাকিস্তানের আনাম আমিন ২৫ রানে নেন ৩ উইকেট।
এর আগে স্বাগিতকদের শুরুটা অবশ্য খুব একটা ভালো ছিল না। ৩৮ রানের মধ্যে ইনিংস উদ্বোধন করা সিদরা আমিন ও জাভেরিয়া খানকে হারায় তারা। জাভেরিয়া আউট হন ২১ রান করে। আর সিদরা করেন ১২ রান।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করা বিসমাহ মারুফের অসাধারণ এক ইনিংসে দুইশ’ পার হয় পাকিস্তানের সংগ্রহ। দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দিলেও মাত্র ৮ রানের জন্য শতক না পাওয়ার হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বিসমাহকে। লতা মণ্ডলের বলে ফাহিমা খাতুনের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১২৮ বলে খেলা ৯২ রানের ইনিংসটি ৮টি চারে সাজান তিনি।
তৃতীয় উইকেটে নাইন আবিদির সঙ্গে তার ৬১ রানের জুটিটিই পাকিস্তানের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয়। আবিদি ২৭ রান করে আউট হন। এ ছাড়া নিদা দার করেন ২১ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সালমা। একটি করে উইকেট নেন খাদিজা তুল কুবরা, লতা, নাহিদা আক্তার ও ফাহিমা।
এর আগে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশের মেয়েরা।
করাচিতেই সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি হবে আগামী মঙ্গলবার।