মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। তার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক সতীর্থদের টানা পাঁচ দিন ভালো ক্রিকেট খেলে যাওয়ার তাগিদ দেন।
“পাঁচ দিনই আমাদের ভালো খেলতে হবে। বিষয়টা এমন নয় যে, আমরা প্রথম দিনেই ম্যাচ জিতে যাব। এটা পাঁচ দিনের খেলা। পুরো পাঁচ দিনই আমাদের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে খেলতে হবে। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ আর সুযোগও। আমরা যেহেতু এক নম্বর দলের বিপক্ষে খেলছি, সুযোগটা আসলে সেখানেই। তাদের বিপক্ষে জেতাটা অনেক বড় ব্যাপার হবে।”
“আমাদের বোলিং ইউনিটের সামর্থ্য আছে ওদের ২০ উইকেট নেওয়ার। সেটা করতে পারলে ফলাফলটা ভালো হতে পারে। ভালো ফলাফলটা কী, সেটা আপনারা জানেন- বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে সিরিজটি জিততেও পারে,” যোগ করেন অধিনায়ক।
কাগজে-কলমে শক্তির বিচারে বেশ এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবি ডি ভিলিয়ার্সের অনুপস্থিতির পরও সন্দেহাতীতভাবে ফেভারিট অতিথিরাই। ডেল স্টেইন-মর্নে মর্কেল-ভার্নন ফিল্যান্ডারে গড়া পেস আক্রমণ বিশ্বের সেরাদের একটি। চট্টগ্রাম টেস্টে তাদের ভালোভাবেই সামাল দেয় স্বাগতিকরা। সেটাই আশাবাদী করছে মুশফিককে।
“ওদের বোলিং আক্রমণটা আমাদের জন্য হুমকির। আমাদের চ্যালেঞ্জ থাকবে ওদের পেস বোলিং আক্রমণ প্রতিরোধ করা। শেষ টেস্টে আমাদের সবাই ভাল খেলেছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী।”
বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দলের বিপক্ষে সহজ কোনো কিছুর প্রত্যাশা নেই মুশফিকের। তবে অতিথিদের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সামর্থ্যে বড় কিছুর স্বপ্ন অধিনায়কের চোখে, “আমাদের চেষ্টা থাকবে চ্যালেঞ্জটা উতরে যাওয়ার। আমাদের সামর্থ্য আছে এই চ্যালেঞ্জটা নেওয়ার। শুধু মাঠে গিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে আশা করছি, ফল ভালো হবে।”
চট্টগ্রামে ড্র হওয়া প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪৮ রানে অল আউট করে বাংলাদেশ। মুশফিক জানান, এই ছোট স্কোরে অতিথিদের গুটিয়ে দেওয়ার পর বোলারদের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে।
“বোলারদের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি হয়েছে যে, ভালো জায়গায় বোলিং করে গেলে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকেও খুব কম রানে অল আউট করা যায়। সে দিক থেকে বলব যে, আত্মবিশ্বাস সবার মধ্যেই আছে। আশা করি, এই আত্মবিশ্বাসের প্রভাব পড়বে সামনের ম্যাচে।”