সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রী হোস্টেলের আইপিডি সেন্টারে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল রোধে একটি আইন করেছিলেন। সে আইনে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল, কিন্তু তার কার্যকারিতা নেই। আইন আছে, প্রয়োগ নেই।
“সামনে রোজা আসছে। এখন এই সব অসাধু ব্যবসায়ীরা আরও তৎপর হয়ে উঠবে। আমরা যদি সচেতন না হই, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে।”
রওশন বলেন, “প্রতিবছর আমাদের প্রয়োজন মাত্র কয়েক টন ফর্মালিন। সেখানে গতবছর দেশে এসেছে ১৭ হাজার ফর্মালিন। এত ফরমালিন কোথায় যাচ্ছে? এই ব্যবসা কারা করছে, তা প্রধানমন্ত্রী ভালো করেই জানেন। তিনি যদি চান তাহলে একদিনের মধ্যেই এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরা সম্ভব।”
রাসায়নিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে শাক সবজি, ফলমূল, মাছ-মাংস বিষ হিসেবে এখন দেশবাসীকে গ্রহণ করতে হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, “যারা এটা করছে তাদেরকে সামান্য জেল-জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান রাখা প্রয়োজন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাই, এ বিষয়ে মনযোগ দেওয়ার জন্য।”
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, বিরোধীদলীয় প্রধান হু্ইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ প্রমুখ।