সাক্ষ্য দিতে ভারতে গেলেন ফেলানীর বাবা

কোচবিহারে বিএসএফ এর বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার পুনর্বিচারে সাক্ষ্য দিতে ভারতে গেলেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম।

লালমনিরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2014, 09:58 AM
Updated : 16 Nov 2014, 12:46 PM
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন ও ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এটিএম হেমায়েতুল ইসলামও তার সঙ্গে রয়েছেন।

রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করেন।

এর আগে মেজর হেমায়েতুল ইসলাম বলেন, “সোমবার বিএসএফের স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম সাক্ষ্য দেবেন। ”

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত হন কিশোরী ফেলানী।

কাঁটাতারে কয়েক ঘণ্টা ঝুলে থাকার পর বাংলাদেশি এ কিশোরীর লাশ বাঁশে বেঁধে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।

এ ছবি প্রকাশিত হলে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসহ মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই পরিস্থিতিতে ২০১৩ সালের ১৩ অগাস্ট বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু করে ভারত সরকার।

সে সময় আদালতে সাক্ষ্য দেন প্রত্যক্ষদর্শী ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম ও মামা আব্দুল হানিফ। কিন্তু ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।

এতে আবারো সমালোচনা শুরু হলে বিজিবি-বিএসএফ দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে ফেলানী হত্যার পুনর্বিচারের আশ্বাস দেয় বিএসএফ।

গত ২২ সেপ্টেম্বর বিএসএফের বিশেষ আদালতে পুনর্বিচার শুরু হয়। এতে সাক্ষ্য দিতে রওনা হলেও আদালত মুলতবি হওয়ায় ফেলানীর বাবাকে ফিরে আসতে হয়।

পুনর্বিচারে ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম।

আব্রাহাম লিংকন বলেন, “ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে কমে আসবে সীমান্ত হত্যা। আর খালি হবে না কোন মায়ের বুক।”