জালিয়াত যুগ্ম-সচিব কাসেমকে বাধ্যতামূলক অবসর

জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেওয়া যুগ্ম-সচিব আবুল কাসেম তালুকদারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2014, 12:44 PM
Updated : 12 Nov 2014, 06:38 PM

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানান।

আবুল কাসেমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে গত ৯ নভেম্বর আদেশ জারি হলেও বিষয়টি জানাজানি হয় বুধবার। ২০১৮ সাল পর্যন্ত তার চাকরির মেয়াদ ছিল।

এর আগে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখা বিদেশিদের দেওয়া সম্মাননা ক্রেস্টে স্বর্ণ জালিয়াতির ঘটনার পর তাকে ওএসডি করা হয়েছিল। 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, আবুল কাসেম তালুকদারের চাকরির সময় ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকার ‘জনস্বার্থে’ তাকে অবসর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে।

“সরকারি কর্মচারি আইন ১৯৭৪ এর ৯(২) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করলেন।”

সরকারি চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও আবুল কাশেম বিধি অনুযায়ী অবসর সুবিধা পাবেন বলে আদেশে উল্লেখ রয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সুপারিশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ২২ সেপ্টেম্বর যুগ্ম-সচিব আবুল কাসেম এবং তিন সচিবের মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিল করে।

বাকি তিনজন হলেন- স্বাস্থ্য সচিব নিয়াজ উদ্দিন মিয়া, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সচিব এ কে এম আমির হোসেন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী।

আবুল কাসেম তালুকদার

সনদ জালিয়াতির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে এরপর তাদের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

একই কারণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামানের (বর্তমানে প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় বেসরকারিকরণ কমিশনের চেয়ারম্যান) মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট স্থগিত করা হয়।

সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলাভঙ্গ সংক্রান্ত বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থার মুখে গত ৬ নভেম্বর স্বেচ্ছা অবসরে যান নিয়াজ উদ্দিন মিয়া ও এ কে এম আমির হোসেন। 

আর মাসুদ সিদ্দিকীকে গত অগাস্ট মাসেই সম্মাননা ক্রেস্টে স্বর্ণ জালিয়াতির ঘটনায় ওএসডি করা হয়।

৫ যুগ্ম-সচিবের দপ্তর বদল

পাঁচজন যুগ্ম-সচিবের দপ্তর বদল করে বুধবার আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

খাদ্য অধিদপ্তরের আইন উপদেষ্টা খুরশিদ আলমকে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এবং বিআরটিসির পরিচালক নিখিল রঞ্জন রায়কে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক করা হয়েছে।

এছাড়া বিআরটিসির জিএম মো. শামসুল আলমকে একই কর্পোরেশনের পরিচালক এবং ইলেকট্রিসিটি জেনারেল কোম্পানি অফ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আলীম উদ্দিন আহমেদকে সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক হিসাবে বদলি করা হয়েছে।

আলাদা আদেশে বাংলাদেশ সেতৃ কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. আলাউদ্দিনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।