সনদ জালিয়াতি: জবাব দিলেন ৪ কর্মকর্তা

জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেওয়ার অভিযোগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কারণ দর্শাও নোটিসের জবাব দিয়েছেন তিন সচিব ও এক যুগ্ম-সচিব।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2014, 11:18 AM
Updated : 28 Oct 2014, 11:18 AM

জনপ্রশাসন সচিবের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান আলী মোল্লা মঙ্গলবার বলেন, “আমরা শোকজের জবাব পেয়েছি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এখন বিদেশে আছেন। তিনি ফিরে এ বিষয়ে জানাবেন।”

সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলাভঙ্গ সংক্রান্ত বিধি অনুযায়ী গত ১৩ অক্টোবর স্বাস্থ্য সচিব নিয়াজ উদ্দিন মিয়া, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সচিব এ কে এম আমির হোসেন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকীকে এই নোটিস দেওয়া হয়।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (ওএসডি) আবুল কাসেম তালুকদারকেও ‘শোকজ’ করে মন্ত্রণালয়।

সনদ জালিয়াতির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা ১০ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয় তাদের।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সুপারিশে এই চারজনের মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিল করে গত ২২ সেপ্টেম্বর আদেশ জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

একই কারণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামানের (বর্তমানে প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় বেসরকারিকরণ কমিশনের চেয়ারম্যান) মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট স্থগিত করা হয়।

বাকি চারজনকে নোটিশ দেওয়া হলেও সনদ স্থগিত হওয়ায় ওয়াহিদুজ্জামানকে কারণ দর্শাতে বলা হয়নি। 

তার বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এর আগে বলেছিলেন, “তিনি (মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান) মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেয়ার জন্য পাঁচটি ধাপের চারটিই শেষ করেছেন। যে ধাপটি শেষ করেননি ওই অপরাধ তার নয়।

“অতি উৎসাহী কর্মকর্তারা শেষ ধাপ না মেনে তার গেজেট প্রকাশ করেন, যা এনএসআইয়ের তদন্তেও বেরিয়ে এসেছে। তাই তার সনদ বাতিল না করে স্থগিত করা হয়েছে।”

মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এ পর্যন্ত চারশ’র মতো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ পাওয়া গেছে।  জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিলের বৈঠকে তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।