ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন

আদালতের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আট মাস পর নারায়ণগঞ্জের নিহত ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2014, 11:01 AM
Updated : 2 Sept 2014, 11:22 AM

সিআইডির নারায়ণগঞ্জ অফিসের সহকারী পুলিশ সুপার এহসান উদ্দিন চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার সকালে বন্দরের জাঙ্গাল গালিমপুর কবর স্থান থেকে লাশ উত্তোলনের পর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

এ সময় জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমত উল্লাহ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

গত ২ জানুয়ারি মেঘনা নদীর রাম প্রসাদের চর থেকে তাজুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যা মামলায় বর্তমানে আলোচিত সাত হত্যা মামলার গ্রেপ্তার আসামি র‌্যাবের মেজর আরিফসহ কয়েকজন র‌্যাব কর্মকর্তার নামও এসেছে।

নিহতের বাবা জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের ললাটি এলাকা থেকে আইনশৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে ব্যবসায়ী তাজুলকে তুলে নিয়ে যায়।

১৬ দিন পর ওই চর থেকে র‌্যাবের ব্যবহৃত রশি দিয়ে হাত-পা বাঁধা ও গলায় গামছা পেঁচানো এবং বুকের মধ্যে ইট বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ছেলে নিখোঁজের পরপরই জহিরুল বাদী হয়ে কামরুজ্জামান নামে এক চিকিৎসকসহ অজ্ঞাত পরিচয় সাত জনকে আসামি করে বন্দর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তাজুলের সঙ্গে ডা. কামরুজ্জামানের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার রয়েল স্পেশাল হাসপাতালের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

এর জেরে তৎকালীন র‌্যাব-১১ এর মেজর আরিফ র‌্যাব কার্যালয়ে তাজুলকে ডেকে নিয়ে একটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন।

এ ঘটনার পর মেজর আরিফসহ ডা. কামরুজ্জামান, তার ভাই বদরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তাজুল। এর পরপরই আইনশৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকে র‌্যাব সদস্যরা তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।

তাজুল হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার এহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিন মাস আগে মামালাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছ থেকে সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্তভার পেয়েই লাশের ডিএনএ টেস্টের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়।”